সিলেটে পাথর লুটপাটের ঘটনায় বিজিবির দায়িত্বে অবহেলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে বিজিবির সদর দপ্তর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুবায়ের আনোয়ার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বিত টাস্কফোর্সের অভিযান অধিক পরিমাণে চালানো হলে এত ব্যাপক লুটপাট হতো না।’
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল এলাকায় টহল কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব তথ্য জানান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘সাদা পাথর লুটপাটের সঙ্গে জড়িত মহল বিজিবি সম্পর্কে নানা ধরনের অপতথ্য প্রচার করছে। পাথর লুটপাট ও সংশ্লিষ্ট ঘটনায় বিজিবির দায়িত্বে অবহেলা আছে কি না, তা তদন্ত করছে সদর দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি।’
১৯ বিজিবি অধিনায়ক বলেন, ‘সাদা পাথর লুটপাটের সঙ্গে জড়িত মহল বিজিবি সম্পর্কে নানা ধরনের অপতথ্য প্রচার করছে। বিজিবি সার্বক্ষণিক ভাবে তাদের আওতাধীন এলাকায় টহল অব্যাহত রেখেছে।
একারণেই বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন সীমান্তের ৩০০ গজের ভেতরে এলাকাগুলো থেকে পাথর লুটপাট করতে পারেনি দুর্বৃত্তরা।’
সাম্প্রতিক লুটপাটের পর বিজিবি সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে জনবল বৃদ্ধিসহ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে ১৯ বিজিবির অধিনায়ক আরো বলেন, ‘গেল ২ মাসে পাথর চুরিতে ব্যবহৃত ৬ শতাধিক বারকি নৌকা জব্দসহ আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে বিজিবি।’
অধিক পরিমাণে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বিত টাস্কফোর্সের অভিযান চালানো হলে এত ব্যাপকভাবে লুটপাট হতো না বলেও মন্তব্য করেন বিজিবির এই কর্মকর্তা।
টিকে/