নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশের ওপরে সিট পেয়ে ক্ষমতায় আসবে : ফজলুর রহমান

রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘নির্বাচন হলে বিএনপি আল্লাহর রহমতে দুই-তৃতীয়াংশের ওপরে সিট পেয়ে ক্ষমতায় আসবে।’

সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘যারা ৫ আগস্টের অভিনেতা। আমি তাদের নেতা বলতে চাই না। তাদের আমি অভিনেতা বলব। সেই অভিনেতারা বলেছেন, এই ৫ আগস্টের আন্দোলনের মূল ভ্যানগার্ড ছিল ইসলামী ছাত্রশিবির এবং জামায়াতে ইসলামী। সেই কারণে জামায়াত ইসলাম মনে করে এই দেশের ক্ষমতা ৫৪ বছর পরে তাদের হাতে যাওয়া উচিত।’

জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ করে ফজলুর রহমান বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী চক্রান্ত করে এই দেশে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। সেই প্রতিষ্ঠার পিছনে জাতীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আছে। সেই ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশে তারা এমন একটা শক্তি হিসেবে দাঁড়িয়েছে তাদের অর্থবিত্ত সব কিছু আছে। লুটপাটের মাধ্যমে হোক; আর মধ্যপ্রাচ্যের টাকা এনে হোক—এই দেশে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান দখল করে তারা শক্তিশালী হয়েছে। তারা টাকা-পয়সার মাধ্যমে তরুণ সমাজের একটা অংশকে যেকোনোভাবে কনভিন্স করে আজকে একটা শক্তি নিয়ে সামনে এসেছে।

সারা বাংলাদেশের এসি ল্যান্ড থেকে ইউএনও, ওসি-ডিসি যা আছে ওপরের সচিব পর্যন্ত সব প্রশাসন তারা দখল করেছে।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের ব্যাংক, ইনস্যুরেন্স কম্পানি, শেয়ার মার্কেট, হসপিটাল, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠন সবকিছু দখল করেছে। তারা এখন মনে করছে আমরা আনঅফিসিয়াল ক্ষমতায় আছি। কিন্তু অফিশিয়ালি ক্ষমতায় আমরা জীবনে যেতে পারব না। কারণ ভোটের গোনায় আমরা আগে ছিলাম ৭ শতাংশ এখন গেলে আরো ১ শতাংশ কমবে। 

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে যেতে চায় একমাত্র বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারলে। কারণ বিএনপি পাহাড়ের মতো তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে ভোটের বেলায়। কাজেই তারা বিএনপিকে ধ্বংস করতে চায় এবং ধ্বংস করার জন্য প্রথমে এই ছেলেরাই আস্তে আস্তে স্লোগান দিল। পরে জামায়াত কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলল, আমরা ৫ আগস্ট ঘটিয়েছি কি শুধু নির্বাচন করার জন্য? এখানে আমরা সংস্কার করব। যখন দেখল এইটাই কাজ হচ্ছে না, এখন বলে যে পিআর পদ্ধতিতে ভোট হবে। পিআর পদ্ধতিতে এই দেশের মানুষ বোঝে না। পৃথিবীর ২-৩টা দেশ ছাড়া কোথাও পিআর পদ্ধতি নেই।’

ইউটি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আমরা সবাই বাংলাদেশি, এর বাইরে আর কোনো পরিচয় নেই: এস এম জিলানী Aug 24, 2025
img
গাইবান্ধায় ভাসানী সেতুর তার চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের Aug 24, 2025
img
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক Aug 24, 2025
img
বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক আজ Aug 24, 2025
img
দেশে নির্বাচনের মৌসুম শুরু হয়ে গেছে, ডিসেম্বরে তফসিল : সালাহউদ্দিন Aug 24, 2025
img
জামায়াত ঐতিহাসিকভাবে জাতির ক্রান্তিলগ্নে স্টুপিড সিদ্ধান্ত নেয় : জাহেদ উর রহমান Aug 24, 2025
img
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে যে বার্তা দিলেন ইসহাক দার Aug 24, 2025
img
বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ১০০ গোলের মাইলফলক ছুঁলেন রোনালদো Aug 24, 2025
img
যারা বিতর্ক করতে ভালোবাসেন তারা প্রকৃতির উন্নয়ন নিয়ে ভাবেন: রিজওয়ানা Aug 24, 2025
img
ভিডিও বানাতে সেতু থেকে নদীতে লাফ, নিখোঁজ কলেজছাত্র Aug 24, 2025
img
লিডসের বিপক্ষে গোল উৎসব করল আর্সেনাল Aug 24, 2025
img
এশিয়া কাপের দলে নিজের নাম দেখে বিস্মিত রিঙ্কু সিং Aug 24, 2025
img
গোপনে জামিনে মালয়েশিয়া গিয়ে টিকটকে মেতেছেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ফ্রেজার Aug 24, 2025
img
বিএনপির রাজনৈতিক ইতিহাস, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ইতিহাস : সালাহউদ্দিন আহমদ Aug 24, 2025
img
সিলেটকে বদলে দিতে চাই: ডিসি সারওয়ার Aug 24, 2025
img
জাতি গঠনে শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা অপরিহার্য: নাজমুল হাসান Aug 24, 2025
img
আসুন আলোচনা করি, কীভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়: সালাহউদ্দিন আহমদ Aug 24, 2025
img
পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে একাত্তরের ইস্যুর সমাধান চাইল এনসিপি Aug 24, 2025
গাজায় বেঁচে থাকা শিশুদের এখনো সুযোগ আছে: মেলানিয়াকে তুর্কি ফার্স্ট লেডির চিঠি Aug 24, 2025
আমি হতাশ হতে চাই না, তারপরও হতাশ হতে হচ্ছে: মির্জা ফখরুল Aug 24, 2025