আমজনতার দলের সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান বলেছেন, এই সরকার না সংবিধান মেনে চলতে চায়, না নৈতিকতা মেনে চলতে চায়। তিনি বলেন, আজকে তারা (উপদেষ্টা) বলছে তফসিল ঘোষণার পরে তারা নির্বাচনের জন্য পদত্যাগ করতে চায়। কিন্তু আমার কথা, আমজনতার কথা হলো— কোনো উপদেষ্টা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
মো. তারেক রহমান বলেন, যারা পদত্যাগের কথা বলছেন, আপনারা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারবেন না।
যাদের থাকার নৈতিকতা নাই বলে মনে হবে, আমরা তাদের টেনেহিঁচড়ে নামাবো। আমরা আপনাদেরকে পদত্যাগ করার ওই সুযোগটা দিতে চাই না।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ভাই একসঙ্গে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি, এই সরকার যখন গঠিত হয়েছিল তখন কথা ছিল, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তারা উপদেষ্টা পরিষদে যাবে না। যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না, তারা উপদেষ্টা পরিষদে যাবে।
আজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হয়ে টাকা-পয়সা বানিয়ে, নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে, সেই টাকা দিয়ে সামনে নির্বাচনে খেলতে চাও; তাই তো? আমাদের স্পষ্ট কথা— খেলা তো দূরের কথা, আমরা তোমাদের মাঠেই নামতে দেবো না।
তিনি বলেন, এক একটা উপদেষ্টার পিএস-এর ১০০ কোটি টাকা, ১৫০ কোটি টাকা, ৩০০ কোটি টাকা লুটপাটের খবর বের হয়ে আসছে। চাকরের অবস্থা যদি এমন হয়, ৩০০ কোটি টাকার মালিক হয়, তাহলে চিন্তা করেন তাদের মনিব আসিফ মাহমুদের অর্থনৈতিক অবস্থা কী?
তিনি বলেন, এখন যে কয়জন উপদেষ্টা নির্বাচনের খায়েশ নিয়ে এখানে কুটুর কুটুর করছে, তাদের বাবারা এলাকায় মাস্তানি করছে। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বাবা বনশ্রী, আফতাবনগর, রামপুরা এলাকায় মাস্তানি করছে।
আগে আমরা শুনতাম বাপে এমপি, ছেলে মাস্তানি করে; আর এখন শুনতে হচ্ছে ছেলে এমপি আর বাপে করছে মাস্তানি। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবা তার এলাকায় এই মুহূর্তে অঘোষিত এমপি। উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা তার এলাকার বড় নেতা হয়ে গেছে।
এফপি/ টিএ