তৃতীয় মাত্রার সঞ্চালক ও সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডির নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে আমরা সব হারাব।’
তিনি বলেন, ‘আজকে সবচেয়ে বড় সত্য আমাদের সামনে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন। এটা শুধু একটা রাজনৈতিক ঘটনা নয়। আমাদের উপস্থিতের প্রশ্ন।
আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ সবাই বলছে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন হোক। অন্যদিকে আমরা নিজেরাই বিভ্রান্তি আর শর্তের জালে জড়িয়ে যাচ্ছি। দলগুলো যদি সহযোগিতার মনোভাব না দেখায় তবে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে। আর যদি নির্বাচন না হয় আমরা সব হারাব।
আন্তর্জাতিক সমর্থন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, জনগণের আস্থা এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ।’
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলাপকালে জিল্লুর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক জটিলতা তৈরি করার ক্ষমতা অপরিসীম। ইতিহাস সেই সাক্ষ্যই দেয়।
অথচ আমরা জানি এর ফলাফল ভয়াবহ। এখনো সময় আছে সব পক্ষকে সমঝোতায় আসতে হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো নতুন বিভাজন নয় বরং ঐক্যের পথ তৈরি করতে হবে। যদি আমরা সত্যিই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তবে আমাদের লক্ষ্য হতে হবে একটা বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন। যা জনগণের জন্য উৎসবের হবে এবং বিশ্ব সম্মান জানাবে।
সাংবাদিক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘রাজনীতিতে যদি সততা না থাকে, দূরদৃষ্টি না থাকে, জনতার সঙ্গে সম্পর্ক না থাকে, গণেশ উল্টাতে খুব বেশি সময় লাগে না। রাজনীতির প্রতিশোধটা অনেকটা প্রকৃতির প্রতিশোধের মতো।’
তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন শেখ হাসিনা চাইছেন, যা খুবই ইন্টারেস্টিং। অথচ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানটি সংবিধান থেকে বাতিল করেছিলেন তিনি। এখন আওয়ামী লীগের লোকজন বলছেন তাদের ছাড়া নির্বাচন কিভাবে হবে? ডাকসু নির্বাচন কিভাবে হবে? অথচ এই নির্বাচনগুলো তাদের আমলে যখন করেছেন তখন কিন্তু বিএনপি বা অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলোর কথা তাদের মনে হয়নি। তাদের বাদ দিয়েই করেছেন এবং তারা যেন কোনোভাবে নির্বাচন করতে না পারে সেই ব্যবস্থাটা তারাই করেছিলেন। ইতিহাসের নির্মম পরিহাস।’
সাংবাদিক জিল্লুর রহমান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারের নিষেধাজ্ঞা আওয়ামী লীগের সময় দেওয়া হয়েছিল। আদালতকে ব্যবহার করে দেওয়া হয়েছিল। নিয়তির নির্মম পরিহাস। আজকেও আদালত বলে, সরকার বিবৃতি দিয়ে বলে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। সেই সময় আমরা সমালোচনা করেছি তারেক রহমানের বক্তব্য কেন প্রচার করা যাবে না? আর গণমাধ্যম নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চললে গণমাধ্যম কি গণমাধ্যম থাকে? সংবাদ মাধ্যমের কাজ হচ্ছে তথ্য উপাত্ত জনসম্মুখে হাজির করা, বিশ্লেষণ করা।
তবে অবশ্যই রাষ্ট্রের নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব যেন বিপন্ন হয় এমন কোন কাজ করা থেকে গণমাধ্যমকে বিরত থাকতে হবে।
এসএন