শুধু শেখ হাসিনাই মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র স্টেকহোল্ডার না : তারেক

আমজনতার দলের সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিরা যত ফাল পাড়বে, মুক্তিযুদ্ধের আওয়াজ তত শক্তিশালী হবে। এ এমন এক দ্বন্দ্ব যা শেষ হওয়ার না। এটা ইজ্জত আর জন্মের সঙ্গে সম্পর্ক একটি জাতির। ওদের ন্যারেটিভ এমন যে, হাসিনা যেহেতু পরাজিত, মুক্তিযুদ্ধ তেমনি পরাজিত।

আদতে, শেখ হাসিনাই মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র স্টেকহোল্ডার না তা দেশের মানুষ জানে ও লালন করে। আমরাও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াইকে ঘুণাক্ষরেও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে লড়াই হিসাবে মনে করি নাই।’

সোমবার দিবাগত রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা ও লালন এমন যে, যারা এটা ধারণ করে সম্মানিত হতে চাইবে, তারাই এটার ধারক ও বাহক। এই চিন্তা ধ্বংস করতে হলে, এই চিন্তার বিরুদ্ধে আর একটা লড়াই করতে হবে।

সে লড়াইয়ে পতাকা বদল হবে, স্লোগান বদল হবে, মানচিত্র বদল হবে। যতদিন তা হবে না ততদিন মুক্তিযুদ্ধই আমাদের শিকড়। তাই তো ওরা মুক্তিযুদ্ধের পরিচায়ক সব সাইন বদলে দ্বিতীয় বাংলাদেশ নামে নামকরণ করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ওদের জন্য অস্বস্তিকর।’

তারেক বলেন, ‘আমরা যত চুপ থাকি, দেখুন আমির হামজা নামের লোকগুলো দাবি করছে, গোলাম আজম বাংলাদেশের স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। আবার বলছে, যেহেতু ২৪ এসেছে, ৭১-এর আর দাম নাই। এরা নতুন গল্প লিখতে চায়, আমাদের গৌরবের ইতিহাসকে গৌরবহীন করে। আর একজন তো বলেই বসল, রাজাকার পরিচয় নাকি সম্মানের। সাময়িক পিনিক চলছে এদের, সময় হলে বাংলাদেশের মানুষ এদের প্রাপ্যটা বুঝিয়ে দেবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের বীরশ্রেষ্ঠদের আজ এরা বিমান ছিনতাইকারী প্রমাণ করতে চায়, এদের উদ্দেশ্য আমাদের পরিচয় আর জাতকে ভুলিয়ে দেওয়া। এক রাজাকার শাবক তো বলেই ফেলল, বিহারী হত্যার বিচার চায় সে।

১৭টি বছর লীগের সঙ্গে বসবাস করে এরা বলছে, এদের গায়ে কেউ টাচ করেনি। (স্বীকারোক্তি তাদেরই) আজ গর্ত থেকে বের হয়ে বলে, এখন নাকি ১ বছরেই ১৭ বছরের চেয়ে বেশি নির্যাতন হচ্ছে তাদের ওপর। আমরা যখন নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হচ্ছিলাম, কতটা মায়ের নিরাপদ আচলের তলে ছিল তারা নিজেরাই সেভাবে বলছে। আজ তারা বিপ্লব আর লড়াইয়ের গল্প শোনায়, যারা লীগের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করেছিল।’

এফপি/ টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ক্লান্ত টাইগাররা চাঙ্গা হয়ে ফিরবে, দৃঢ় বিশ্বাস লিটনের Nov 01, 2025
img
৪২ বছর পর নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ ইংল্যান্ড Nov 01, 2025
img
সালমানের মৃত্যুর দিন শাবনূরকে বাসায় আটকে রাখেন ডলি জহুর Nov 01, 2025
img
নিউ ইয়র্কে জরুরি অবস্থা জারি Nov 01, 2025
img
হ্যালোইনের সাজে নতুন চমক দিলেন অপু বিশ্বাস Nov 01, 2025
img
জ্বালানি খাতের লুটপাট এখনও বন্ধ হয়নি : মান্না Nov 01, 2025
img
অভিনেতা রবি কিষাণকে মেরে ফেলার হুমকি Nov 01, 2025
img
ব্যাটিং-ফিল্ডিং ব্যর্থতায় হতাশ বাংলাদেশ, বিরতিহীনতার অযুহাত দিলেন লিটন Nov 01, 2025
img
ষড়যন্ত্র পরিহার করে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে : আমীর খসরু Nov 01, 2025
img
জুলাই সনদের দরকার নেই, গণতন্ত্র বাস্তবায়নে একটি সংসদ প্রয়োজন: মেজর (অব.) হাফিজ Nov 01, 2025
img
‘টাকার জন্য মা আমাদের বাড়ি জুয়াড়িদের ভাড়া দিতেন’ : ফারাহ খান Nov 01, 2025
img
নির্বাচনের স্বার্থে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক কিছু মেনে নিয়েছে বিএনপি : হাফিজ Nov 01, 2025
img
ফের তানজানিয়ার ক্ষমতায় সামিয়া হাসান Nov 01, 2025
img
২ মাস পর পুঁজিবাজারে সাপ্তাহিক লেনদেনে বাড়লো গতি Nov 01, 2025
img
৪ ক্যাম্পাসে শিবিরের ভূমিধস জয় রহস্যজনক : নুর Nov 01, 2025
img
গোল্ডেন বুটে চুমো দিয়ে এমবাপ্পে বললেন, ‘আরো জিততে চাই’ Nov 01, 2025
img
বিএনপি অর্জুন গাছের ছাল, যখন যার প্রয়োজন কেটে নেয়: মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল Nov 01, 2025
img
নির্বাচনের পথে প্রবেশ না করা পর্যন্ত কোনো কিছুর সমাধান নেই : স্বপন Nov 01, 2025
img
আবারও বগুড়ায় ফিরবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট: তামিম Nov 01, 2025
img
আলেমদের সান্নিধ্যে থেকে চরিত্র গঠনের আহ্বান ধর্ম উপদেষ্টার Nov 01, 2025