ফজলুর রহমান তো ফজলুর রহমানই : মোস্তফা ফিরোজ

ফজলুর রহমান তো ফজলুর রহমানই। ফজলুর রহমান সাম্প্রতিক সময় অনেক কথা বলছেন। তার বক্তব্যে নিঃসন্দেহে জামায়াতে ইসলাম, এনসিপি ক্ষুব্ধ হতে পারে। এটা একজন স্বাধীন মুক্তমনা মানুষ বলতে পারে।

আবার এটাও ঠিক যে বিএনপি বর্তমান একটা স্পর্শকাতর সময় অতিক্রম করছে। এই সময় হয়তো এত বক্তব্য বিএনপির জন্য প্রাসঙ্গিক নাও হতে পারে।সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ।

মোস্তফা ফিরোজ বলেন, তিনি (ফজলুর রহমান) অনর্গল বলেছেন। কিন্তু তিনি কি জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে স্বীকার করেন না, বা এটা কি চাননি? যদি নাই চেয়ে থাকেন তাহলে গত ১৫ বছরে আমরা বিভিন্ন সময় ওনার বক্তব্য নিয়েছি, প্রচার করেছি, বিভিন্ন মিডিয়াতে দেখেছি। তিনি তো পালাননি। তিনি একেবারে সাহসিকতার সাথে কথা বলে গেছেন। তাহলে সেগুলোর অর্থটা কী?

মোস্তফা বলেন, ফজলুর রহমানের একটা বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দল তাকে শোকজ করেছে।

তিনি বলেছেন, নাহিদ ইসলাম বা সারজিস আলমদের রেফারেন্সে ৫ আগস্টে যে অভ্যুত্থান সেই অভ্যুত্থানে জামায়াত শিবির জড়িত। সেই জামায়াত শিবিরকে তিনি কালো শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ওনার বক্তব্যের পুরো অর্থটা এমন না যে তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কলঙ্কিত করছেন বা তার বিরোধিতা করছেন। তাই যদি করতেন তাহলে গত ১৫ বছরে ফজলুর রহমান কী বক্তব্য দিলেন? আমরা কী প্রচার করলাম? সেটা একটু বোঝার দরকার।

ফিরোজ বলেন, ওনার একটা বক্তব্যের নানারকম ব্যাখ্যা হতে পারে।

দল শোকজ করে বলেছে এটা খুবই উদ্দেশ্যমূলক। দল তো এটাই করে। কিন্তু হঠাৎ করে এটাকে কেন্দ্র করে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা, বিক্ষোভ করা এগুলোর মধ্য দিয়ে কি বিএনপিকে সাইজ করা, নাকি ফজলুর রহমানকে সাইজ করা বিষয়টা পরিষ্কার না।

ফিরোজ আরো বলেন, হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের দোসর একে ওকে বানানো হয়। আপনার মতের সাথে মিলছে না, আপনি হয়তো আওয়ামী লীগের রাজনীতির কোনো একটা অংশকে সাপোর্ট করছেন, ব্যস, আপনি হয়ে গেলেন আওয়ামী লীগের দোসর। মানুষ যেন খোলাভাবে তার মত প্রকাশ করতে পারে সেটার জন্যই তো একটা রাজনৈতিক পরিবর্তন। মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এইগুলো তো গণঅভ্যুত্থানের সাথে যুক্ত।

এফপি/ টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সেফ এক্সিট কারা চাইছেন, তালিকা প্রকাশ করবে এনসিপি Oct 14, 2025
img
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদকসহ যুবক গ্রেপ্তার Oct 14, 2025
img
রাতে হঠাৎ মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা জোরদার Oct 14, 2025
img
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ১৮ নভেম্বর Oct 14, 2025
img
জেন-জি বিক্ষোভের মুখে হেলিকপ্টারে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট Oct 14, 2025
img
মিসরের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘অর্ডার অব দ্য নাইল’ পেলেন ট্রাম্প Oct 14, 2025
img
নেইমারের জন্য এখনও দরজা খোলা রেখেছেন কার্লো আনচেলত্তি Oct 14, 2025
img
ইতিহাস গড়ে ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট পেল কেপ ভার্দে Oct 14, 2025
img
নোবেল শান্তি পুরস্কারে এখনও সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী ট্রাম্প : শাহবাজ Oct 14, 2025
img
জয়পুরহাট জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ Oct 14, 2025
img
জামায়াত নির্বাচনে জয়ী হলে জনগণের মালিক নয়, সেবক হবে : ডা. শফিকুর Oct 14, 2025
img
ঝালকাঠি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কেকার নিথর দেহ উদ্ধার Oct 14, 2025
img
রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক Oct 14, 2025
img
৩ বিভাগের সংঘর্ষে উত্তাল রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, আহত ১০ শিক্ষার্থী Oct 13, 2025
img
মিশরে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর Oct 13, 2025
img
ইসরায়েল থেকে ১৯৬৮ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি, ‘মাইলফলক’ বলল হামাস Oct 13, 2025
img
বিয়ের পর স্বামীর কাছে তনীর আবদার Oct 13, 2025
img
বাংলাদেশের মাথাপিছু জলবায়ু ঋণ ৮০ ডলার Oct 13, 2025
রাকসুতে অভিনব কায়দায় প্রচারণা চালাচ্ছেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রার্থী! Oct 13, 2025
img
সাউথ আফ্রিকাকে বাগে পেয়েও হারাতে পারল না বাংলাদেশ Oct 13, 2025