সিলেটে মানববন্ধনের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় তা স্থগিত করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এনসিপির সিলেট জেলার সদস্য (প্রচার) ছালিম আহমদ খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনসিপি সব সময় সত্য, ন্যায় ও জনগণের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ও গণতান্ত্রিক চর্চায় বিশ্বাসী। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।
জানা গেছে, আলোচিত সাদাপাথরকাণ্ডে এনসিপির সিলেটের দুই নেতার নাম আসে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক প্রতিবেদনে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর প্রতিবাদে এনসিপি বুধবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে এক মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। তবে কর্মসূচি শুরুর একদিন আগে সংগঠনটি এক বিজ্ঞপ্তিতে মানববন্ধন স্থগিত করার ঘোষণা দেয়।
এনসিপি নেতারা জানান, কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর ইস্যুতে জেলার প্রধান সমন্বয়নকারী নাজিম উদ্দীন সাহান ও মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরীর নাম জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর প্রতিবাদে বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর চৌহাট্টা এলাকার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক মানববন্ধন কর্মসূচি আহ্বান করা হয়। তবে দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় এ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এনসিপির সিলেট জেলার প্রধান সমন্বয়নকারী নাজিম উদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেন, আপাতত আমাদের মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে, পরে পুনর্নির্ধারিত সময় জানানো হবে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র থেকে সাদাপাথর লুটের ঘটনা ঘটে। ১৩ আগস্ট সাদাপাথর এলাকায় এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায় দুদক। দুদক সিলেটের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাৎ-এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এ অভিযান চালায়। পরে অভিযানে পাওয়া যাবতীয় তথ্য প্রাথমিক প্রতিবেদন আকারে ঢাকায় পাঠানো হয়।
দুদকের পাঠানো ওই প্রাথমিক প্রতিবেদনে লুটপাটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৪২ জনের নাম উঠে আসে। এদিকে দুদকের তালিকায় এনসিপির দুই নেতার নাম থাকার বিষয়ে ২১ আগস্ট বিকেলে সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে এনসিপি এক সংবাদ সম্মেলন করে পাথর লুটে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তারা বিষয়টিকে ‘ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও অসত্য’ বলে দাবি করেন।
ইউটি/টিএ