বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেছেন, ভোটাধিকার ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। সেই ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। ২০১৪ সালের বিনাভোটের নির্বাচন, ২০১৮ সালের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন ততদিন চলবে, যতদিন মানুষ ব্যালটে ভোট দিতে না পারে।
তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম নবায়নে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামনগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামা ওবায়েদ বলেন, যারা গত ১৫ বছর বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে তারা ফ্যাসিস্ট। তাদের দোসররা এখনো সমাজে আছে। তারা বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করবে। সুতরাং নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
নতুন সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন করে তিনি বলেন, প্রত্যেক ওয়ার্ডে গিয়ে সদস্য নবায়ন করবেন। অগ্রাধিকার দেবেন তাদের, যারা গত ১৭ বছর দলের সঙ্গে বেঈমানি করেনি, আন্দোলন সংগ্রামে যারা পাশে ছিলেন। নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে সদস্য করবেন। তবে যারা অপকর্মে জড়িত ছিল, তারা বিএনপির সদস্য হতে পারবে না।
বিএনপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার পিতা (বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে. এম. ওবায়দুর রহমান) ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সমানভাবে দেখতেন। আমরা সবাই নগরকান্দা-সালথার মানুষ- এটাই আমাদের পরিচয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রশ্ন রেখে বিএনপির এই নেত্রী বলেন, উন্নয়ন হয়েছে কেবল সেই এমপির, যিনি বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
শামা ওবায়েদ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯ দফা দিয়ে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশকে নিয়ে গিয়েছিলেন। জনগণ ভোট দিলে এবার তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি যে ৩১ দফা দিয়েছেন, তা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। এতে যুবকদের চাকরি, কৃষকের ন্যায্যমূল্য ও দরিদ্রদের জন্য ফ্যামিলি কার্ড চালুর প্রতিশ্রুতি রয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রথম এক বছরে এক কোটি বেকারকে চাকরি দেওয়া হবে।
সভায় রামনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. সাত্তার মণ্ডলের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য দেন, নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলীসহ অনেকে।
পিএ/টিএ