ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল রায়ের পুনর্বিবেচনা, পুনরায় শুনানি আজ

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য রাজনৈতিক দল ও ছয় ব্যক্তির করা চারটি আবেদনের শুনানি আজ পুনরায় অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল মঙ্গলবার আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। পরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ শুনানি ফের আজকের জন্য ধার্য করেছেন।

২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী, অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করেই এ রায় ঘোষণা করা হয়। পরে গত বছরের অক্টোবরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।

এর আগে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। অন্য চারজন হলেন—তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। এ ছাড়া গত বছরের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।

১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ কয়েকজন ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে। পরে বিশেষ বেঞ্চে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় ঘোষণা করা হয়। সেই রায়ে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করে বলা হয়, ১৯৯৬ সালের এই সংশোধনী সংবিধানসম্মত। পাশাপাশি ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিল করার অনুমতিও দেওয়া হয়।

২০০৮ সালে বাংলাদেশে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সেই নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন জিতে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। তবে ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়।

এফপি/ টিকে  

Share this news on:

সর্বশেষ

img
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে খুলনার অধিনায়ক মিঠুন Aug 27, 2025
img
ফেসবুকে মজার খেলায় মাতলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী Aug 27, 2025
img
রিজভীর স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া বিজ্ঞপ্তি, বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান Aug 27, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি সর্বোচ্চ আদালতের Aug 27, 2025
img
অপর্ণা সেনের প্রেমে পড়ে বাংলা শিখেছিলেন দক্ষিণ ভারতের সুপারস্টার Aug 27, 2025
img
‘আপনার প্রতি কেউ খুশি নয়’— মোদিকে ফিজির প্রধানমন্ত্রী Aug 27, 2025
img
২০২৪ হিসাব বছরে লভ্যাংশ দেবে না ইসলামী ব্যাংক Aug 27, 2025
img
ট্রাম্পের শুভেচ্ছা টেলর–কেলসকে, বাগদানের খবরে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন Aug 27, 2025
img
৮০ বছর পর আর্জেন্টিনায় মিলল নাৎসিদের লুট করা শিল্পকর্ম Aug 27, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দিলে কবে থেকে কার্যকর হবে? : প্রধান বিচারপতি Aug 27, 2025
img
রুমমেটকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ডাকসু ভিপি প্রার্থী জালাল গ্রেপ্তার Aug 27, 2025
img
তিন দফা দাবিতে আবারও শাহবাগ অবরোধ বুয়েট শিক্ষার্থীদের Aug 27, 2025
img
মানালি হাইওয়েতে ভূমিধস, যান চলাচল বন্ধ Aug 27, 2025
‘মটু’ মন্তব্যে সাড়া, ওজন কমিয়ে সাবলীল অপু! Aug 27, 2025
img
ঢাবির হল সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী ১০৩৫ জন, প্রত্যাহার ৭৩ ও বাতিল ১ Aug 27, 2025
img
হঠাৎ আইপিএল থেকে অবসর ঘোষণা অশ্বিনের Aug 27, 2025
img
ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক, বাংলাদেশ মেয়েদের ম্যাচ সম্প্রচারে অনিশ্চয়তা Aug 27, 2025
img
ডিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন Aug 27, 2025
img
ভিন্ন ভিন্ন সংস্করণে দর্শক মহলে সাড়া ফেলেছে সুইফটের নতুন অ্যালবাম Aug 27, 2025
img
বিশ্বে প্রথমবারের মতো মানবদেহে শূকরের ফুসফুস প্রতিস্থাপন Aug 27, 2025