এক লাফে পেঁয়াজের দাম ক্রেতা সাধারণের নাগালের বাইরে গেলেও সরকার বলছে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। যদি কোনো ব্যবসায়ী পেঁয়াজ মজুদের চেষ্টা করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীন। এছাড়া মঙ্গলবার থেকে টিসিবির মাধ্যমে রাজধানীর ৩৫ টি স্থানে ন্যায্যমুল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে বলেও জানান তিনি।
ভারত রপ্তানি বন্ধ করার পর সোমবার রাজধানীর ১৬টি স্থানে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করে টিসিবি। রাজধানীর খোলা বাজারে সোমবার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে। দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে রাতারাতি উধাও হয়ে গেছে এ নিত্যপণ্যটি।
বাণিজ্য সচিব বলেন, দেশীয় পেঁয়াজ ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ মিলিয়ে মজুত সন্তোষজনক। মনে করি এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। যারা পেঁয়াজের বাজার দর বাড়ানোর চেষ্টা করছেন এর কোনো যুক্তি নেই। যারা মজুদ করবেন এবং বাজারকে অস্থির করার চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
সচিব মো. জাফর উদ্দীন আরো বলেন, দেশি পেঁয়াজের মজুদ যথেষ্ট রয়েছে। মজুদ পরিস্থিতি জানতে ১০টি টিম পাঠাচ্ছি, যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে এসব টিম ১০টি জেলায় যাবে, যেখান থেকে বেশির ভাগ পেঁয়াজ আসে। এছাড়া বিভিন্ন স্থলবন্দর যেমন- বেনাপোল, বাংলাবান্ধাসহ বিভিন্ন বন্দরে আমাদের কর্মকর্তারা মনিটরিংয়ে থাকবেন। কারণ পেঁয়াজ পচনশীল দ্রব্য, সবাইকে এ মেসেজ দেয়। এটা রাখার দরকার নেই দ্রুত ছেড়ে দিতে হবে। কারণ পাইপলাইনে আমদানি করা পেঁয়াজ আছে। ফলে দেশের বাজারে যোগান সচল থাকবে।
সচিব বলেন, টিসিবিকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি এতদিন তারা ১৬টি ট্রাকে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এখন সেটা বাড়িয়ে ৩৫টি ট্রাকে পেঁয়াজ বিক্রি করবে। আমরা সব সময় মনিটরিং করছি। আশা করছি, আগামীকাল (মঙ্গলবার) বা দ্রুত এর সুফল পাওয়া যাবে। আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে। ভোক্তা অধিকার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ চারটি টিম কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে যাতে পেঁয়াজ নিয়ে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আমরা কৃষি ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা নিচ্ছি। আমাদের ঘাটতি খুব বেশি নয়। যেহেতু আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ কাজেই পেঁয়াজ, রসুন, আদা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে পদক্ষেপ নিয়েছি। যাতে ভবিষ্যতে আমদানির দিকে তাকিয়ে থাকতে না হয়।’
টাইমস/এমএস