বিতর্কিত গভর্মেন্টগুলোর মধ্যে ড. ইউনূসের গভর্মেন্ট একটা : মাসুদ কামাল

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, যে সমস্ত তত্ত্বাবধায়ক গভর্মেন্ট বাংলাদেশে আসছে, যে তত্ত্বাবধায়ক গভর্মেন্টগুলো বিতর্কিত হয়েছে, তাদের মধ্যে ওনার (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) গভর্মেন্ট একটা। আর ছিল ওয়ান ইলেভেন গভর্মেন্ট। বাকি আগেরগুলো নিয়ে কোনো বিতর্ক ছিল না।

সম্প্রতি এক টেলিভিশনের টকশোতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

মাসুদ কামাল বলেন, বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক গভর্মেন্ট যখন থাকে তারা কী করে? তারা একটা সেফ এক্সিট খোঁজে। যখন দায়িত্ব শেষ হবে তখন ঠিকঠাক মতো বেরিয়ে যেতে পারবে কি না?

ওয়ান ইলেভেন গভর্মেন্ট আওয়ামী লীগের সঙ্গে আগেই সেই সেফ এক্সিটের ব্যবস্থাটা করে নিছে যে, আমারে যাওয়ার ব্যবস্থাটা করে দিয়েন। আওয়ামী লীগ গভর্মেন্ট ক্ষমতায় এসে সেটা করছে। এখন এই ইউনূসের সরকার দেখছে তার সেফ এক্সিট কই? এই পোলাপান তো পারবে না।

এই পোলাপানের সেই গ্রহণযোগ্যতা নাই। অগত্যা পোলাপানের মাথার ওপর থেকে হাত সরায় নিয়ে এখন সে বিএনপির ঘাটে নৌকা ফিরাইছে।

মাসুদ বলেন, বিএনপি যা বলবে শুনবে। ভাই তোমরা আমাকে একটা সেফ এক্সিট দিও।

বিএনপি কী করবে সেটা বিএনপির ব্যাপার। কিন্তু উনি চেষ্টা চালাচ্ছেন, এটা দৃশ্যমান। আমার কাছে মনে হয় তারা বেশ পড়াশোনা করা এবং গোছানো। তাদের মধ্যে এক ধরনের অসহিষ্ণুতা কাজ করেছে। হঠাৎ করে মানে অসময়ে অনেক কিছু পেয়ে যাওয়ার কারণে এটার ভার তারা বহন করতে পারে নাই।

এই জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আরো বলেন, এই স্টুডেন্টগুলোর সম্ভাবনাটাকে ড. ইউনূস নিজের হাতে নষ্ট করেছেন। ওনার ব্যক্তিগত কিছু স্বার্থ ছিল, সেই স্বার্থে এদেরকে ব্যবহার করেছেন। উনি এই পার্টিটার গায়ে একটা ট্যাগ লাগিয়ে দিয়েছেন। এদের গ্রহণযোগ্যতাটা একদম মানুষের মধ্যে নাই হয়ে গেছে। দ্বিতীয় যে জিনিসটা হয়েছে, এদের হাতে অপরিমিত ক্ষমতা দিয়ে দিছে।

লিখিতভাবে দেয় নাই। কিন্তু তারা ক্ষমতাটা পেয়েছে। পেয়ে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, সচিবালয়ে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারে না, ওরা ঢুকতে পারে। ওরা ওখানে যেয়ে কী করে? তদবির করেছে। অনেক ডিসি বদলি হয়েছে এদের সুপারিশের কারণে, এদের মাধ্যমে।

এরা কি জানে কাকে কোথায় ডিসি দিতে হবে? ওখান থেকে অনেক সুযোগ সুবিধা তারা পেয়েছে। ট্যাগ লাগানোর কারণে জনগণের কাছ থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আর এইগুলোর কারণে তারা তাদের চরিত্রটাকে ধরে রাখতে পারে নাই। 

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
এল ক্লাসিকোয় অনিশ্চিত লেভানদোভস্কি Oct 15, 2025
মিরপুরের আগুনের ঘটনা নিয়ে যা বলছে ফায়ার সার্ভিস Oct 15, 2025
প্রটোকল ভঙ্গের অভিযোগে আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার রোম সাক্ষাৎ Oct 15, 2025
আ. লীগের মিছিলে অর্থ লেনদেন ঘিরে পুলিশের কড়া সতর্কতা Oct 15, 2025
ইন্দো–প্যাসিফিক অংশীদারিত্বে অস্ট্রেলিয়ার চোখ বাংলাদেশে Oct 15, 2025
সরকারের কাছে অনুরোধ, নিহত পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হোক: জামায়াতের আমির Oct 15, 2025
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে শিক্ষকদের দিনব্যাপী কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি Oct 15, 2025
img
ভারতে চলন্ত বাসে আগুন, পুড়ে প্রাণ গেল অন্তত ১৯ জনের Oct 15, 2025
'আমি ৩০ সেকেন্ডে এমন কিছু বলবো, যেটা বাংলাদেশের পক্ষে যাবে' Oct 15, 2025
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে জামায়াত নেতার বক্তব্য Oct 15, 2025
দুর্নীতি/বাজ জনপ্রশাসন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার বলছে জামায়াত Oct 15, 2025
img
রোনালদোর রেকর্ড, অল্পের জন্য বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হলো না পর্তুগালের Oct 15, 2025
img
১৬ বছর পর আবারও ফিফা বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা Oct 15, 2025
img
পাবলিক ইস্যু রুল-২০১৫ রহিত করে নতুন নীতিমালার খসড়া অনুমোদন Oct 15, 2025
img
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ছাত্রদল নেতার Oct 15, 2025
img
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে দেবে বিএনপি Oct 15, 2025
img
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে চূড়ান্ত জুলাই সনদ Oct 15, 2025
img
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড Oct 15, 2025
img
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে দেবে জামায়াত Oct 15, 2025
img
চাকসু নির্বাচন আজ Oct 15, 2025