ভারতে পাস হয়েছে ‘অনলাইন গেমিং বিল’। নতুন এই আইন বাস্তবায়ন হলে ২০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারের। এমনকি ধাক্কা আসতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট কাঠামোতেও। মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন দেশটির একাধিক তারকা ক্রিকেটার।
ড্রিম ১১’-সহ সকল ফ্যান্টাসি স্পোর্টস অ্যাপ বা ‘রিয়েল গেমিং অ্যাপ’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারতে। ফলে এর প্রভাব পড়বে আইপিএলসহ দেশটির সব ধরনের ক্রিকেটেই। কারণ বেশিরভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতেই স্পন্সর হিসেবে দেখা যায় বেটিং কোম্পানিগুলোকে।
ভারতে অসংখ্য ফ্যান্টাসি স্পোর্টস অ্যাপ রয়েছে। অনলাইনে টাকার বিনিময়ে এই গেমগুলি খেলে অর্থ আয় করা যেত। কেন্দ্রীয় সরকারের ধারণা, এই অ্যাপগুলি লাভের টাকার একাংশ খরচ করে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার মতো একাধিক অনৈতিক কাজে। তাই আইন করে এই ধরনের অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেকেই এই অ্যাপে টাকা দিতে গিয়ে প্রচুর অর্থ হারিয়েছেন। দেশটির বিভিন্ন জায়গায় আত্মহত্যার খবরও শোনা গেছে। শুধু অ্যাপগুলোই নিষিদ্ধ হয়নি, তাদের প্রচারও করা যাবে না।
এসব খাত থেকে ভারত সরকার রাজস্ব বাবদ ২০ হাজার কোটি টাকা হারাতে চলেছে। কারণ এই অ্যাপগুলো থেকে যারা অর্থ রোজগার করতেন, তাদের কর হিসেবে একটা অংশ সরকারকে দিতে হত।
২০২৩-এ অনলাইন শিক্ষামূলক সংস্থা ‘বাইজুস’-এর সঙ্গে ভারতের চুক্তি শেষ হয়। তার পরই ‘ড্রিম ১১’-এর সঙ্গে চুক্তি করে ভারতীয় বোর্ড। তিন বছরের চুক্তি ছিল। ২০২৩-২০২৬ পর্যন্ত ভারতীয় দলের মূল স্পনসর থাকার জন্য ৩৫৮ কোটি টাকা বোর্ডকে দেওয়ার কথা ছিল ‘ড্রিম ১১’-এর। ফ্যান্টাসি স্পোর্টস অ্যাপ ‘মাই-১১ সার্কেল’-এর সঙ্গে বোর্ডের চুক্তি হয়েছিল ৬২৫ কোটি টাকার। ‘মাই-১১সার্কেল’ আইপিএলের প্রধান স্পনসর হিসাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। পাঁচ বছর মেয়াদ ছিল সেই চুক্তির। প্রতি বছর বোর্ড ১২৫ কোটি টাকা করে পেত। ফলে দু’টি সংস্থা মিলিয়ে বোর্ডের ক্ষতি ৯৮৩ কোটি টাকার।
ইউটি/টিএ