আসন্ন এশিয়া কাপকে সামনে রেখে গত শুক্রবার ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর এশিয়া কাপ দিয়ে দীর্ঘ ৩ বছর পর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির দলে ফিরেছেন নুরুল হাসান সোহান। এ ছাড়া দীর্ঘ দুই বছর পর ডাক পেয়েছেন সাইফ হাসান।
বাংলাদেশের এই দলের বড় চমক ডানহাতি ব্যাটার সাইফ। তবে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সোহান নিয়মিত পারফর্মার। এই উইকেটকিপার ব্যাটার ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রায় সব আসরেই নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন। এই দুই ক্রিকেটার রয়েছেন আসন্ন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও।
আজ বৃৃহস্পতিবার সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লিটন দাস এই দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে বলেন, ‘দেখুন আমি খুবই খুশি আমার দলে দুজন খেলোয়াড় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। এমন না যারা এখন দলে নেই তারা খারাপ খেলোয়াড়। তারাও বাংলাদেশের জন্য অনেক কিছু করেছে এবং অদূর ভবিষ্যতে আবারও হয়ত তারা কামব্যাক করবে। সোহান ও সাইফ বিগত অনেকগুলো বছর ধরে ভালো ক্রিকেট খেলছে। বিশেষ করে সোহান ভাই তো অনেকদিন ধরেই মোটামুটি ভালো ক্রিকেট খেলছে।'
এরপর সাইফকে নিয়ে অধিনায়ক লিটন বলেন, ‘সাইফের ক্ষেত্রে গত বিপিএল, গ্লোবাল সুপার লিগ এবং অস্ট্রেলিয়াতেও একটা সিরিজ খেলে এলো। তার যে খেলার ধরন ছিল এবং আমার কাছে মনে হয় আমাদের একজন খেলোয়াড় দরকার ছিল যে কিনা মাঝের ওভারগুলোতে একটু আগ্রাসী মানসিকতা নিয়ে ক্রিকেট খেলতে পারবে। আবার যার কাছ থেকে এক-দুই ওভার বোলিংও পাওয়া যাবে। ওই জন্যই কিন্তু সাইফকে নেয়া হয়েছে। সুতরাং আশা করব সাইফের যে সামর্থ্য আছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে যেভাবে ক্রিকেট খেলেছে সেটা এখানেও খেলার চেষ্টা করবে।’
তাদের দুজনকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে লিটন বলেন, ‘যদিও তারা সুযোগ পায় আমি চাইব তারা যেন বাংলাদেশের জন্য তাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারে। শুধুমাত্র দুই-এক ম্যাচ পরেই বাদ পড়বে ব্যাপারটা এমন না। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আপনি যেকোনো সময়ই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার জন্য আউট হয়ে যেতে পারেন। এটা আমরা ম্যানেজমেন্ট বুঝব খেলোয়াড়টা কিরকম খেলার চেষ্টা করেছে। যদি বুঝি সে দলের জন্য সবকিছু দিতে প্রস্তুত তাহলে অবশ্যই টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে ব্যাক করবে।’
এসএস/টিকে