শিবির ট্যাগ দিয়ে বিতর্কে, দুঃখ প্রকাশ করলেন ডাকসু এজিএস প্রার্থী মায়েদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে আয়োজিত একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে প্রশ্ন করতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীর প্রশ্নের জবাবে ছাত্রদল সমর্থিত এজিএস পদপ্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ ওই শিক্ষার্থীকে ‘শিবির’ ট্যাগ দেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় অনুষ্ঠিত ওই টকশোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

এ বিষয়ে তানভীর আল হাদী মায়েদ জানান, তাৎক্ষণিকভাবে এমন মন্তব্য করা উচিত হয়নি। তিনি দাবি করেন, বক্তব্যের শুরু ও শেষে তিনি প্রশ্নকর্তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন, যা অনেকের অজানা রয়ে গেছে। রাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে তিনি পুনরায় দুঃখ প্রকাশ করেন।

পোস্টে মায়েদ বলেন, ডাকসু নির্বাচনে আমাদের প্যানেল ঘোষিত ইশতেহারের ১.২ দফায় আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে উল্লেখ করেছি, ‘গেস্টরুম-গণরুম সংস্কৃতি, জোরপূর্বক রাজনৈতিক কর্মসূচি ও দমনপীড়নের মতো ঘৃণিত চর্চা বন্ধ করে ক্যাম্পাসকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব থেকে চিরকালের জন্য মুক্তকরণ।’ এছাড়াও ইশতেহারের ১০.১ দফায় আমরা বলেছি, ‘একাডেমিক ক্যালেন্ডারে নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত করা।’

তিনি বলেন, আমাদের এই সুনির্দিষ্ট ইশতেহার শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, আমরা এগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যদিও আজ একটি বিতর্কে একজন দর্শকের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমি ভুল শব্দচয়ন করেছি। প্রশ্নটি শুনে মনে হয়েছিল, প্রশ্নকর্তা আমাদের ইশতেহারটি ভালো করে পড়েননি। যদিও তাৎক্ষণিক আমার এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি।

তথাপি আমি বক্তব্যের শুরু ও শেষে প্রশ্নকর্তার প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছি। সেটা অনেকেই না জেনে থাকবেন।

মায়েদ আরও উল্লেখ করেন, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, গেস্টরুম-গণরুমসহ জোরপূর্বক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করানোর বিরুদ্ধে আমি ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছি।

এছাড়াও নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করাও আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার। আমাদের এই ক্যাম্পাসের সব অপসংস্কৃতি আমরা সবাই মিলে ইনশাআল্লাহ চিরকালের জন্য বন্ধ করব এবং এটিই আমাদের প্রতিজ্ঞা।

এফপি/ টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ট্রাম্পের কাছে তথ্যচিত্রের জন্য ক্ষমা চেয়েছে বিবিসি Nov 14, 2025
img
কুড়িগ্রামের নতুন ডিসি অন্নপূর্ণা দেবনাথ Nov 14, 2025
img
পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা বাড়ছে, তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে Nov 14, 2025
img
গাজায় ধ্বংস প্রায় ৩ লাখ বাড়ি, শীতে তাঁবুতেই আশ্রয় নিচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা Nov 14, 2025
img
রাজধানীতে হালকা শীতের আমেজ, সকাল শুরু ১৯ ডিগ্রি তাপমাত্রায় Nov 14, 2025
img
ডিএসইর বাজার মূলধন কমল আরও ১৭ হাজার কোটি টাকা Nov 14, 2025
img
বরিশালে নতুন বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসি নিয়োগ Nov 14, 2025
img
সাতক্ষীরায় ২ চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার ৩ Nov 14, 2025
img
প্রয়োজন ছাড়াই নির্মাণ হচ্ছে ৯ কোটি টাকার সেতু Nov 14, 2025
img
স্বর্ণ কিনবেন? জেনে নিন আজ দেশে কত দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ Nov 14, 2025
img
রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতা ছাড়া ভালো নির্বাচন সম্ভব নয় : আনোয়ারুল Nov 14, 2025
img
চীনে উদ্বোধনের পরই ভেঙে পড়ল সেতু Nov 14, 2025
img
তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ হবে শান্তি ও সমৃদ্ধির: আবু সুফিয়ান Nov 14, 2025
img
শুকনা খাবারে লবণ বেশি হলে কী করবেন Nov 14, 2025
img
রাঙ্গুনিয়ায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে শ্রমিকদল নেতার মৃত্যু Nov 14, 2025
img
দিল্লি সফরে যাচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান Nov 14, 2025
img
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১,৯২৩ জন Nov 14, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Nov 14, 2025
মোস্ট ওয়ান্টেড থেকে হোয়াইট হাউস: শারার ঐতিহাসিক সফর Nov 14, 2025
ভারত চীনের সীমান্তে লাদাখে নতুন সামরিক বিমানঘাঁটি উদ্বোধন Nov 14, 2025