নির্বাচনের আগে নিশ্চিত করুন আম্পায়ার কোনো দলের পক্ষে না: হাসনাত আবদুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকারকে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, আম্পায়ার কোনো নির্দিষ্ট দলের পক্ষ হয়ে খেলবে না। আর এটা লিখিত হতে হবে। এখানে কারও মুখের কথা আমরা বিশ্বাস করি না।

শুক্রবার রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বারের মোহাম্মদপুর গ্রামে এনসিপির ‘উঠানে রাজনীতি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিজেদের কিছু শর্ত আছে উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ১৬ বছর ধরে রাতে ভোট, দিনের ভোট, এমনকি কবর থেকেও ভোট দেওয়ার নজির দেখা গেছে। রেফারিরা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পক্ষে গোল দিয়েছে। তাই নির্বাচনের আগে নিয়ম পরিবর্তন অপরিহার্য। এজন্যই নির্বাচনের আগে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, আম্পায়ার কোনো নির্দিষ্ট দলের পক্ষ হয়ে খেলবে না।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, রাষ্ট্রের এত বড় একটি কাজ আমি লিখিত ছাড়া কীভাবে বিশ্বাস করি। এজন্য আলোচনা চলছে। এগুলো লিখিত নিয়মে লাগবে। নিয়মটা বিএনপি-জামায়াত এবং এনসিপির পক্ষে হওয়ার দরকার নেই। এটা বাংলাদেশের পক্ষে হোক। এই নতুন বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মদের সঙ্গে যারা প্রতারণা করবে তারা টিকতে পারবে না। আমরা যদি প্রতারণা করি আমরাও টিকতে পারব না।

এনসিপি নেতা আরও বলেন, ভবিষ্যতে কোনো প্রার্থী যদি টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করেন, তাহলে বুঝতে হবে, তিনি দুর্নীতির টাকা খরচ করছেন। জনগণ যদি এক হাজার টাকা নেয়, এর বিনিময়ে কোটি টাকার উন্নয়নকাজ নষ্ট হয়। টাকার বিনিময়ে ভোট কিনে এমপি হয়ে সেই প্রার্থীরা পরে ঘুস, টেন্ডার ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বহুগুণ টাকা তুলে নেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, জনগণ সৎ হলে নেতাও সৎ হবে, জনগণ দুর্নীতিগ্রস্ত হলে নেতাও দুর্নীতিগ্রস্ত হবে। কারণ নেতা সব সময় জনগণের প্রতিফলন হয়। একজন সচেতন মানুষ পুরো সমাজকে পরিবর্তন করতে পারে। এই জেনারেশন দুর্নীতি করে না, ঘুস খায় না, অন্যায়কে অন্যায় বলে। ভবিষ্যতে তাই দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না।

উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান সমন্বয়কারী জামাল মোহাম্মদ কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব এসএম সাইফ মোস্তাফিজ, দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু প্রমুখ।

ইউটি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সেমির আশা টিকাতে লঙ্কানদের বিপক্ষে কাল জিততে হবে টাইগ্রেসদের Oct 20, 2025
img

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন

বিশেষ আদেশের ভিত্তি নিয়ে ভাবছে ঐকমত্য কমিশন Oct 20, 2025
img
এনসিপিকে কেন শাপলা দেওয়া যাবে না, নীলা ইসরাফিলের ব্যাখ্যা Oct 20, 2025
img
বিমানবন্দরের ঘটনায় পোশাক রপ্তানিকারকদের ১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা Oct 20, 2025
img
এবার জামায়াতের বিরুদ্ধে নাহিদের তোপ : মাসুদ কামাল Oct 20, 2025
img
চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে : বিএনপি Oct 20, 2025
img
জবি ছাত্রদল নেতা জুবায়েদের খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে বংশাল থানা ঘেরাও Oct 20, 2025
img
চট্টগ্রামে মধ্যরাতে বহুতল ভবনে আগুন Oct 20, 2025
img
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না হলে ওই সনদ কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকবে : জুমা Oct 20, 2025
img
নিজের এক্স প্রোফাইল থেকে পিএসএল টিমের নাম মুছে ফেললেন রশিদ Oct 20, 2025
img
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক Oct 20, 2025
img
জুলাই সনদে যারা সই করেছে তারা এই দেশকে ধারণ করে না : হান্নান মাসউদ Oct 20, 2025
img
রিশাদকে নিয়ে নান্নুর মন্তব্যে Oct 19, 2025
img
তিনি যা বানাচ্ছেন তা কেউ কখনো করেননি : রণবীর সিং Oct 19, 2025
img
প্রয়োজন শেষে রূপ বদলালেন ড. ইউনূস : জিল্লুর রহমান Oct 19, 2025
img
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস Oct 19, 2025
img
চাকসুতে নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণের সম্ভাব্য সময় বৃহস্পতিবার! Oct 19, 2025
img
৪৯তম বিশেষ বিসিএসের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১২১৯ জন Oct 19, 2025
img
জয়া আহসান এখন শুধু একটি নাম নয়, ব্র্যান্ড! Oct 19, 2025
img
যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল ৫১ জনের , আহত অন্তত ১৫০ Oct 19, 2025