ইউক্রেনের জাপোরিজঝিয়াসহ ১৪টি অঞ্চলে তিন বছরের যুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। একরাতেই প্রায় সাড়ে ৫০০ ড্রোন ও ৪৫টি মিসাইল ছুঁড়েছে মস্কো। এ ঘটনায় ইউক্রেনে একজন নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (৩০ আগস্ট) ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইউক্রেনজুড়ে রাতভর ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া।
রাজধানী কিয়েভ থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জাপোরিঝঝিয়া ও দিনিপ্রো এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। একরাতেই রাশিয়ার ৫০০ এর অধিক ড্রোন ও ৪৫টি মিসাইল ছুড়েছে রুশ বাহিনী।
এসব হামলায় বাড়িঘর, অবকাঠামো ও বাণিজ্যিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় আকারের হামলা।
এরমধ্যেই, রাশিয়ার সেনাপ্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনে রুশ অভিযান কোনোভাবেই বন্ধ করা হবে না। বরং প্রায় সব ফ্রন্টলাইনে তাদের হামলা আরো জোরদার করা হবে। ইউক্রেনীয় সেনারা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং রুশ বাহিনীর অগ্রগতিই এখন কৌশলগতভাবে প্রাধান্য পাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাকে আসন্ন বেইজিং সামরিক কুচকাওয়াজ ও সম্মেলনে পুতিনসহ বিশ্বনেতাদের কাছে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয় বার্তা পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মোদি।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেছেন, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে কূটনৈতিক আলোচনার পরিবর্তে রাশিয়া বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার নেতাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নাও হতে পারে। তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ওয়াশিংটনের উপস্থিতিতে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
যুদ্ধের পাশাপাশি নতুন ভূরাজনৈতিক অগ্রগতিও প্রকাশ্যে এসেছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন প্রথমবারের মতো কোরীয় সেনাদের রাশিয়ার হয়ে কুর্স্ক অঞ্চলে যুদ্ধের ফুটেজ প্রকাশ করেছে। যা কিম জং উন ও ভ্লাদিমির পুতিনের আসন্ন বেইজিং বৈঠকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এমআর/টিকে