শামসুজ্জামান দুদু

নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়াই এখন দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

আজ রোববার (৩১ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দুদু বলেন, বিচার বিচারের জায়গায় হবে। নির্বাচন নির্বাচনের জায়গায় হবে। আর সেটা কোনোভাবেই ফেব্রুয়ারি অতিক্রম করা যাবে না। একটা গোষ্ঠী বলছে পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন হবে না। তারা নির্বাচনে যাবে না। তারা নির্বাচনে না গেলে কি বাংলাদেশ চলবে না? তারা তো বাংলাদেশও চায় নাই। আপনারা যদি অনেক জনপ্রিয় হয়ে থাকেন তাহলে নির্বাচন দেখে ভয় পাচ্ছেন কেন। নির্বাচনে আসেন জনগণ চাইলে আপনারা ক্ষমতায় বসবেন। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছে। ৭১ মনে নাই? বাধা দিয়েছিলেন আটকে রাখতে পেরেছিলেন? ইলেকশন বাধা দিলে আবার পরাজিত হবেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ যে অপকর্ম করেছে তার বিচার হবেই। বাকশাল করে তো তারা রক্ষা পায়নি। রক্ষী বাহিনী গঠন করেও রক্ষা পায়নি। হাসিনা স্বৈরশাসন কায়েম করে রক্ষা পায়নি। তার বিচার হবে। শেখ হাসিনার বিচার করবে আগামীতে যে সরকার আসবে সেই সরকার। এই সরকারের আমলে বিচার শুরু হয়েছে শেষ না হলেও আগামী সরকার যে আসবে আমার বিশ্বাস সেই সরকার এসব বিচার শেষ করবে।

সবার উদ্দেশ্যে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। চারদিক থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশও বসে নেই। আওয়ামী লীগের হাতে অবৈধ টাকা ও অবৈধ অস্ত্র আছে, তাই তাদেরকে ছোট করে দেখলে বিপদ হতে পারে। তাই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে হটানো হয়েছিল গণতান্ত্রিক ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। অথচ আজ একটি গোষ্ঠী, অপশক্তি সু-কৌশলে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। বিগত ১৭ বছরের শাসনামলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমাদের যে আত্মত্যাগ ও সংগ্রাম, সেটিকে ধ্বংস করার জন্য একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।

পিএ/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পরিষদের কমিটি গঠন Oct 21, 2025
img
নীল ছবির তারকা যুগলের ৭ দিনের রিমান্ড চাইল পুলিশ Oct 21, 2025
img
হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে ইথানল বাদ দিতে চায় ইইউ Oct 21, 2025
img
নির্বাচনের সময় এআইয়ের অপব্যবহার রোধে সমন্বিত সেল করা হবে : সিইসি Oct 21, 2025
img
বিপিএসসির সামনে ৪৩তম বিসিএস নন ক্যাডারদের অবস্থান ও বিক্ষোভ Oct 21, 2025
img
নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে আফগানিস্তানের ম্যাচ আয়োজন করবে বাংলাদেশ Oct 21, 2025
img
বর্ষাসহ ৩ জনের জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন Oct 21, 2025
img
অভিনেতা আসরানির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ অক্ষয় Oct 21, 2025
img
অর্কর সঙ্গে আগাম জন্মদিন উদযাপন করলেন পরীমণি Oct 21, 2025
img
ডব্লিউএইচও’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভের সঙ্গে বাংলাদে‌শি দূতের সাক্ষাৎ Oct 21, 2025
img
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরল রেকর্ড, বাংলাদেশের ১০০ Oct 21, 2025
img
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মুখ খুললেন প্রধান উপদেষ্টা Oct 21, 2025
img

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বৃদ্ধি

বিলম্বিত হলেও সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ: জামায়াত আমির Oct 21, 2025
img

শাহজালালের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড

ওষুধ উৎপাদনে অনিশ্চয়তা, ক্ষতি ছাড়াতে পারে ৪ হাজার কোটি টাকা Oct 21, 2025
img
সরকারি অর্থে প্রাইভেট জেট কেনা নিয়ে চাপে মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী Oct 21, 2025
img
চ্যাম্পিয়নস লিগে আজ মাঠে নামছে বার্সা-পিএসজি-আর্সেনাল Oct 21, 2025
img
আবু ত্বহা ও সাবিকুন নাহারের তালাক সম্পন্ন Oct 21, 2025
img

সরকারি টেন্ডার

তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে গণপূর্তের অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে Oct 21, 2025
img
গাজায় দেড়শ টনের বেশি বোমা ফেলেছে ইসরায়েল Oct 21, 2025
img
বাহরাইনে গলফার সামিরের স্বপ্ন শিরোপা Oct 21, 2025