দেশের জনগণ এখন নির্বাচনমুখী, ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না: দুলু

দেশের জনগণ এখন নির্বাচনমুখী হয়ে গেছে ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, দেশের মানুষ প্রায় দুই যুগ ধরে ভোট দিতে পারেনি। মানুষ এবার নির্ভয়ে ভোট দেয়ার পরিবেশ পেয়েছে। তাই দেশের মানুষ ভোট দিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের বিজয়ী করে সংসদে পাঠাতে চায়।

দুলু বলেন, দেশের জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে গেলেও কোন কোন দল পরাজয়ের ভয়ে না না তালবাহানা করে নির্বাচন পেছানোর নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদের সর্ম্পকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের কোন দোসরও যেন নির্বাচন নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র করতে না পারে সে বিষয়েও দেশের মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগও দেশে অশান্তি সৃষ্টির জন্য নানা প্রকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সুযোগ পেলেই তারা দেশকে অকার্যকর করতে অপচেষ্ঠা চালাবে।

রবিবার বিকালে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বক্ষ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এসব কথা বলেন।

স্থানীয় বিএনপির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বাঙ্গাল খলসী মাদরাসা মাঠে আয়োজিত জনসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নাটোর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাটোর পৌরসভার সাবেক মেয়র কাজী শাহ আলম, জেলা বিএনপির সদস্য নাসিম উদ্দিন নাসিম ও হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, জেলা যুবদল সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, জেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম বুলবুল ও ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ শফিকুল ইসলাম শফি হুজুর প্রমুখ।

জন সমাবেশে দুলু আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র কখনই খুব একটা মসৃণ ছিল না। এই দেশে বাকশালী মনোভাবা সম্পন্ন মানুষের সর্বদা অবাধ বিচরণ ছিল, এখনো আছে। এখন সময় এসেছে বাকশালীদের হারিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার। বাকশালীরা দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল বলে আজ তাদের দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। আল্লাহ আবারও আমাদের গণতন্ত্রে ফিরার সুযোগ দিয়েছেন, সেই সুযোগকে অবহেলা করা উচিত হবে না। এখন দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা দরকার। আমরা ফ্যাসিস্টের বিচার চাই, সংস্কার চাই আবার নির্বাচনও চাই। যথাযথ সময়ে নির্বাচন না হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আবারও বিপন্ন হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন এই নেতা।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে ইথানল বাদ দিতে চায় ইইউ Oct 21, 2025
img
নির্বাচনের সময় এআইয়ের অপব্যবহার রোধে সমন্বিত সেল করা হবে : সিইসি Oct 21, 2025
img
বিপিএসসির সামনে ৪৩তম বিসিএস নন ক্যাডারদের অবস্থান ও বিক্ষোভ Oct 21, 2025
img
নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে আফগানিস্তানের ম্যাচ আয়োজন করবে বাংলাদেশ Oct 21, 2025
img
বর্ষাসহ ৩ জনের জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন Oct 21, 2025
img
অভিনেতা আসরানির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ অক্ষয় Oct 21, 2025
img
অর্কর সঙ্গে আগাম জন্মদিন উদযাপন করলেন পরীমণি Oct 21, 2025
img
ডব্লিউএইচও’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভের সঙ্গে বাংলাদে‌শি দূতের সাক্ষাৎ Oct 21, 2025
img
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরল রেকর্ড, বাংলাদেশের ১০০ Oct 21, 2025
img
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মুখ খুললেন প্রধান উপদেষ্টা Oct 21, 2025
img

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বৃদ্ধি

বিলম্বিত হলেও সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ: জামায়াত আমির Oct 21, 2025
img

শাহজালালের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড

ওষুধ উৎপাদনে অনিশ্চয়তা, ক্ষতি ছাড়াতে পারে ৪ হাজার কোটি টাকা Oct 21, 2025
img
সরকারি অর্থে প্রাইভেট জেট কেনা নিয়ে চাপে মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী Oct 21, 2025
img
চ্যাম্পিয়নস লিগে আজ মাঠে নামছে বার্সা-পিএসজি-আর্সেনাল Oct 21, 2025
img
আবু ত্বহা ও সাবিকুন নাহারের তালাক সম্পন্ন Oct 21, 2025
img

সরকারি টেন্ডার

তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে গণপূর্তের অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে Oct 21, 2025
img
গাজায় দেড়শ টনের বেশি বোমা ফেলেছে ইসরায়েল Oct 21, 2025
img
বাহরাইনে গলফার সামিরের স্বপ্ন শিরোপা Oct 21, 2025
img
দেশের মানুষ এখনো প্রাপ্য অধিকার ও মর্যাদা ফিরে পায়নি : আখতার হোসেন Oct 21, 2025
img
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পেয়েছে স্বর্ণের ‘দুবাই ড্রেস’ Oct 21, 2025