সংসদ সদস্যদের অতিরিক্ত বেতন প্রদান এবং পুলিশের অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদে এক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ করে যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষার্থীরা ও সচেতন নাগরিক সমাজ। বিক্ষোভ দমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মারমুখী অবস্থানে থাকায় সোমবারের (১ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভ বাতিল করেছে বিক্ষোভকারীরা।
এক সপ্তাহ আগে জার্কাতায় বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। পরে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের একটি গাড়ি একজন মোটরবাইকারকে ধাক্কা দিলে তার মৃত্যু হয়। এরপর বিক্ষোভ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো বলেন, বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে রাজনৈতিক দলগুলো সংসদ সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা কমাতে রাজি হয়েছে। যদিও এই বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৫ জন নিহত হয়েছে।
এদিকে তিনি রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি এবং রাষ্ট্রীয় ভবনে লুটপাট ঠেকাতে ও বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সদস্যদের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। নারী নেতৃত্বাধীন একটি জোট দ্য অ্যালায়েন্স অব ইন্দোনেশিয়া উইমেন জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষের দমনপীড়ন এড়াতে সংসদ ভবনের সামনে তারা পূর্বঘোষিত বিক্ষোভটি বিলম্বিত করছে।
রোববার ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে সংগঠনটি জানায়, কর্তৃপক্ষের যে কোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে এবং পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা এই বিক্ষোভ স্থগিত রাখবে। শিক্ষার্থী গোষ্ঠীগুলোও সোমবারের বিক্ষোভ স্থগিত করেছে। তারা জানিয়েছে, খারাপ পরিস্থিতির মুখে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্য গোষ্ঠীগুলো সোমবার জাকার্তা বা অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ করবে কি না তা স্পষ্ট নয়, যদিও কিছু গোষ্ঠীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে ভুয়া বিক্ষোভের পোস্টার সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। বিক্ষোভ ও সহিংসতার কারণে ইন্দোনেশিয়ার আর্থিক বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। সোমবার দেশটির শেয়ারবাজারে প্রাথমিক লেনদেনে ৩ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে।
এসএস/টিকে