নেদারল্যান্ডসের ইনিংস শেষেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচটা যে জিততে যাচ্ছে বাংলাদেশ, তা এক প্রকার নিশ্চিত ছিল। ব্যতিক্রম কিছুও হলো না সিলেটে।
অপেক্ষা শুধু কত তাড়াতাড়ি ম্যাচটা জিততে পারে বাংলাদেশ। ১০৪ রানের সেই লক্ষ্য ৪১ বল হাতে রেখে জিতেছে স্বাগতিকেরা। ৯ উইকেটের জয়ে সিরিজও নিজেদের করে নিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম-লিটন দাসরা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে ৪০ রানের জুটি গড়েন তানজিদ তামিম-পারভেজ হোসেন ইমন। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ইমন ২৩ রানে ফিরে যাওয়ার পর তানজিদ তামিম জয়ের বাকি কাজ করেন অধিনায়ক লিটনকে নিয়ে। তাতে শুরুতে দেখেশুনে খেলা ওপেনার পরে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ফিফটিও তুলে নিয়েছেন।
তানজিদ তামিম ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটির ইনিংসটি সাজান ৪ চার ও ২ ছক্কায়।বাঁহাতি ওপেনারের ৫৪ রানের বিপরীতে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক লিটন। ২ ছক্কা হাঁকিয়ে একটা রেকর্ড গড়েছেন তানজিদ তামিম। এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। এ বছর এখন পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ২৩ ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। ২২ ছক্কায় দুইয়ে আছেন ইমন। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ আগামী ৩ সেপ্টেম্বর।
এর আগে বাংলাদেশের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি নেদারল্যান্ডস। ১২০ বলের লড়াইয়ে যে মাত্র ১০৩ রানে অলআউট হয়েছে। তাতে বিব্রতকর এক রেকর্ডও গড়েছে ডাচরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন দলীয় রানের। আগেরটি ছিল ১৩১ রানের, ২০১২ সালে নিজেদের ঘরের মাঠ হেগেতে করেছিল তারা।
প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকাতে শুরুতে বোলিংয়ে নেতৃত্ব দেন নাসুম আহমেদ। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩ উইকেটও নেন তিনি। বাঁহাতি স্পিনারের সঙ্গে পরে উইকেট উদযাপনে যোগ দেন দুটি করে উইকেট নেওয়া দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। প্রতিপক্ষরা এই রানটাও করতে পারত না যদি ৯ নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস না খেলতেন আরিয়ান দত্ত।
ইউটি/টিএ