সময়ের সেরা অলরাউন্ডার রশিদ খানের শেষ কয়েক দিন অবশ্য ভালো কাটছিল না। গড়ে বসেছিলেন দ্য হান্ড্রেডের লজ্জার রেকর্ডও। তবে এশিয়া কাপের ঠিক আগে এই দুঃসময়টাকে পেছনে ফেলার ইঙ্গিত দিয়েছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক। ৩ উইকেট নিয়ে তিনি টি-টোয়েন্টির একটা বিশ্বরেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন।
রশিদ খানের এই বিশ্বরেকর্ডের রাতে আফগানিস্তান ৩৮ রানে হারিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। এই জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের পয়েন্টের খাতাও খুলল দলটা।
এই ম্যাচের আগে রশিদ খানের উইকেট ছিল ১৬২টি। এই ম্যাচে তিনি ২১ রান খরচায় নিয়েছেন ৩টি উইকেট। তাতেই গড়া হয়ে গেছে রেকর্ডটা।
এই ম্যাচের আগে টিম সাউদির দখলে ছিল এই রেকর্ড। তাকে টপকে যেতে ৩টি উইকেটেরই দরকার ছিল রশিদের, তিনি সে ক’টা উইকেটই শিকার করেছেন। ১৬৫ উইকেট নিয়ে রশিদ খান বনে গেছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। গড়ে ফেলেছেন বিশ্বরেকর্ড।
শুরুতে ব্যাট করে আফগানিস্তান ১৮৮ রানের পাহাড় গড়েছিল। তার জবাবে ২ উইকেট খুইয়েই ৯০ রানে পৌঁছে গিয়েছিল আমিরাত। সেখান থেকে ২০ ওভারে যে ৮ উইকেট খুইয়ে ১৫০ রানের বেশি করতে পারেনি আমিরাত, তার কারণ এই রশিদ খানের বোলিংই।
রশিদ খান আর টিম সাউদি বাদে এই তালিকার শীর্ষ পাঁচে আছেন দুই বাংলাদেশি। একজন সাকিব আল হাসান, যার দখলে অনেক দিন ধরে ছিল এই রেকর্ডটা। তার উইকেটসংখ্যা ১৪৯টি। অন্যজন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি ধীরে ধীরে সাকিবকে টপকে যাওয়ার পথে আছেন, তার উইকেট ১৪২টি।
সাকিব মোস্তাফিজের ওপরে, এই তালিকার তিনে আছেন আরও এক নিউজিল্যান্ড বোলার। কিউই লেগ স্পিনার ইশ সোধির উইকেটসংখ্যা ১৫০টি।
এমআর