১০ বছরের জন্য গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে চান ট্রাম্প!

গাজা থেকে সব মানুষকে সরিয়ে অন্তত ১০ বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। রোববার (৩১ আগস্ট) এ খবর দিয়েছে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে ইসরায়েলের যুদ্ধে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজা উপত্যকা যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে একটি ট্রাস্টি প্রশাসনের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজাকে পর্যটনকেন্দ্র ও হাইটেক শিল্পনগরীতে রূপ দেওয়া হবে।

৩৮ পাতার একটি প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষকে অন্তত সাময়িকভাবে সরিয়ে নেওয়া হবে। কেউ চাইলে অন্য দেশে ‘স্বেচ্ছায়’ যেতে পারবেন, অথবা পুনর্গঠনের সময় গাজার ভেতরে বিশেষ নিরাপদ এলাকায় থাকতে হবে।

গাজার জমির মালিকদের ডিজিটাল টোকেন দেওয়া হবে। এর বিনিময়ে তারা অন্য দেশে নতুন জীবন শুরু করতে পারবেন বা ভবিষ্যতে গাজায় নির্মিত ছয় থেকে আটটি ‘স্মার্ট সিটিতে’ একটি ফ্ল্যাট পাবেন।

প্রস্তাবিত সংস্থার নাম রাখা হয়েছে ‘গাজা রিকনস্টিটিউশন, ইকোনমিক অ্যাক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন ট্রাস্ট’ বা গ্রেট ট্রাস্ট। এটি তৈরি করেছেন সেই একই ইসরায়েলিরা, যারা এর আগে গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) গড়ে তুলেছিলেন।

তবে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন সমালোচনা করেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, জুলাই পর্যন্ত খাবারের সন্ধানে গাজায় ১ হাজারেরও বেশি মানুষ ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন, যাদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ নিহত হয়েছেন জিএইচএফ বিতরণকেন্দ্রের আশেপাশে।

এদিকে, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। এর আগে ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলেছিলেন, গাজাকে খালি করে সেখানে সমুদ্রতীরবর্তী সুন্দর শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তার। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও, ইউরোপীয় ও আরব দেশগুলো কড়া সমালোচনা করেছে।

গত সপ্তাহে যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা পরিকল্পনা নিয়ে ট্রাম্প বৈঠক করেছেন। তবে হোয়াইট হাউজ বৈঠকের কোনো আনুষ্ঠানিক বিবরণ প্রকাশ করেনি।

এসএস/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন কারাগারে Sep 02, 2025
img
আইনি জটিলতায় শাহরুখ কন্যা! Sep 02, 2025
img
ফের সিটি স্ক্যান করার জন্য নেওয়া হচ্ছে নুরকে Sep 02, 2025
img
চলতি অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে তৈরি পোশাক রফতানি আয় বেড়েছে ৯.৬৩ শতাংশ Sep 02, 2025
img
৩ দিনের সফরে ঢাকায় টিআই চেয়ারপারসন ফ্রাঁসোয়া Sep 02, 2025
img
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে এক মাসে উৎপাদন ৭৭১ মিলিয়ন ইউনিট Sep 02, 2025
img
আপনারা কারা, জাপা মহাসচিবকে রিজভী Sep 02, 2025
img
মেসির অবসরের জন্য কেউ প্রস্তুত নয়, সাবেক সতীর্থের দাবি Sep 02, 2025
img
আগস্টে রফতানি আয় হ্রাস, তৈরি পোশাক খাতে বড় ধাক্কা Sep 02, 2025
img
রাজনীতিতে প্রতিহিংসা আগামীর বাংলাদেশের জন্য অশনি সংকেত : আনিসুল ইসলাম Sep 02, 2025
img
এলপি গ্যাসের দাম কমলো ৩ টাকা! Sep 02, 2025
img
এনসিপি নেতার আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস Sep 02, 2025
img
অন্যের ওপর দায় না চাপিয়ে অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন: সাদিক কায়েম Sep 02, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনের আপিল বিভাগের শুনানি বুধবার Sep 02, 2025
img
‘দেশ খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা দিয়েছে, তারেক রহমানকেও দিতে পারবে’ Sep 02, 2025
img
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮ মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৩ হাজার Sep 02, 2025
img
বনি আমার হাত শক্ত করে ধরেছিল: কৌশানী Sep 02, 2025
img
২০১৮ সালের রাতের ভোট নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক আইজিপি মামুন Sep 02, 2025
img
আমি স্ট্যাটাস দিই আর গালি শুনি : জয় Sep 02, 2025
img
শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অচলাবস্থার সমাধান হবে : শিক্ষা উপদেষ্টা Sep 02, 2025