ব্যাংকিং খাত এখন বড় সমস্যা: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আর্থিক খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন ব্যাংকিং খাত। এই খাতের সংস্কার সরকার অবশ্যই করবে, এ বিষয়ে আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি। তবে উন্নয়নের স্বার্থে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারকেও কম্প্রোমাইজ করতে হয়।

বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে বিশেষ করে দেশের আর্থিকখাতগুলোর সংস্কারের প্রয়োজন আছে এটা আমরা স্বীকার করি। তবে চলমান উন্নয়ন থেমে যাওয়ার ভয় রয়েছে। বর্তমান উন্নয়ন ধরে রেখে সরকার নীতিগত সংস্কারের কাজ করছে।’

পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ বলেন, কয়েক বছর ধরে বেসরকারি বিনিয়োগ ২০-২৩ শতাংশের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে ৩৬ থেকে ৩৯ শতাংশ বেসরকারি বিনিয়োগের প্রয়োজন।

ব্যাংকের সুদ হার, খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি বেসরকারি বিনিয়োগের অন্যতম বাধা বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক এইচ মনসুর বলেন, ‘আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের উন্নয়নে পোশাক খাত ছাড়াও রপ্তানি বহুমূখীকরণের জন্য বৈচিত্র্য আনতে হবে। পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে পণ্য বহুমুখীকরণের কোনো বিকল্প নেই।’

রপ্তানি বাড়ানোর জন্য বিশ্বের সম্ভাবনাময় বাজারগুলো ধরতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর ‍গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মির্জা মোহা. আজিজুল ইসলাম সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান জায়েদি সাত্তার, নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান এবং সানেম নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হানসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গুজরাটের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী Oct 18, 2025
img
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ‘রশিদ-হাসারাঙ্গা’ না থাকায় স্বস্তিতে বাংলাদেশ Oct 18, 2025
img
অঙ্কনের সামর্থ্যে আস্থা রাখছেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্স! Oct 18, 2025
img
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে অমুসলিমরা সবচেয়ে ভালো থাকবে: রফিকুল ইসলাম খান Oct 18, 2025
img
সেনা হেফাজতে থাকা তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার নিয়ে ভিন্ন তথ্য! Oct 18, 2025
img
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া Oct 18, 2025
img
ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতি’তে তুরস্কের অবদান রয়ে: জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী Oct 18, 2025
img
চীনে দুর্নীতির অভিযোগে সেনাবাহিনীর ৯ শীর্ষ জেনারেলকে বরখাস্ত Oct 18, 2025
img
প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, প্রতিযোগিতার রাজনীতি করুন: জুয়েল Oct 17, 2025
img
শেষ মুহূর্তে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কারো না আসাটা ডিস্টার্বের অংশ: মির্জা আব্বাস Oct 17, 2025
img
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কায় খাদ্য মজুতের ঘোষণা সুইডেনের Oct 17, 2025
img
শাকসু নির্বাচনের দাবিতে রঙ তুলিতে প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের Oct 17, 2025
img
আগামীকাল রিয়া মনিকে তালাকের পর দুধ দিয়ে গোসল করব : হিরো আলম Oct 17, 2025
img
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জবিতে মশাল মিছিল Oct 17, 2025
বাজারে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা হলে মুখ লুকাতে হয় Oct 17, 2025
img
মার্টিন ওডেগোর ছিটকে যাওয়ায় আর্সেনাল শিবিরে বড় ধাক্কা Oct 17, 2025
img
মরক্কোয় জেন-জি বিক্ষোভে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীকে কারাদণ্ড Oct 17, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের সেইফটি নিয়ে চিন্তিত: সারজিস Oct 17, 2025
img
পাকিস্তান-আফগানিস্তানের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল Oct 17, 2025
img
গাজায় ৩ মাসের খাদ্য মজুত আছে : ডব্লিউএফপি Oct 17, 2025