খালি হাতেই ফিরছেন প্রবাসীরা

সচ্ছলতা ও আর্থিক উন্নতির জন্য দেশের মায়া ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমায় হাজারো মানুষ। কাজের সন্ধানে মানুষ আজ মানছে না সীমান্তের পাহারা। পরিবারের ভরণপোষণ জোগাড়ের তাগিদে সহায় সম্বল বিক্রি করে দেশের নানা শ্রেনির মানুষ বিদেশে যাচ্ছেন প্রতিদিন। কেউ প্রশিক্ষিত, কেউ প্রশিক্ষণ ছাড়ায় যেনতেন ভাবেই চলে যাচ্ছে দুর পরবাসে। আর এর ফলেই তাদের জীবনে নেমে আসছে ঘোর অমানিশা।

চাকরি দিয়ে বিদেশে কর্মী পাঠানোর নাম করে দেশে সক্রিয় রয়েছে অসংখ্য প্রতারক সিন্ডিকেট। তারা নামে বেনামি প্রতিষ্ঠানে চাকরির প্রলোভন দিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে অবুঝ বাংলাদেশীদের বিদেশে পাঠায়। বিদেশে গিয়ে কিছু দিন কাজ করার পর সহজ সরল এসব মানুষের ওপর নেমে আসে অন্ধকার। কাজ করেও বেতন না পেয়ে অনেকে প্রতারিত হচ্ছে। অনেকেই কারাভোগের পর দেশে ফিরেছে।

নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই সৌদি আরব থেকে প্রতিনিয়ত প্রবাসীরা দেশে ফিরছেন। উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে বিদেশ গমনের পরে এসব প্রবাসী তাদের সর্বস্ব খুইয়ে দেশে ফিরছে শূণ্য হাতে।

প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরব থেকে রোববার ফেরত এসেছেন ২২৪ বাংলাদেশি। এছাড়া শনিবার মধ্যরাতে ১০৮ জন এবং দুপুরে ১১৬ জন কর্মী দেশে ফেরেন। এ নিয়ে নতুন বছরের প্রথম ১৮ দিনে এক হাজার ৮৩৪ জন বাংলাদেশি শুধুমাত্র সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরলেন।

এছাড়া ২০১৯ সালে ৬৪ হাজার ৬৩৮ কর্মী দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে সৌদি আরব থেকে ২৫ হাজার ৭৮৯ জন, মালয়েশিয়া থেকে ১৫ হাজার ৩৮৯ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ছয় হাজার ১১৭ জন, ওমান থেকে সাত হাজার ৩৬৬ জন, মালদ্বীপ থেকে দুই হাজার ৫২৫ জন, কাতার থেকে দুই হাজার ১২ জন, বাহরাইন থেকে এক হাজার ৪৪৮ জন ও কুয়েত থেকে ৪৭৯ জন প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা শূন্য হাতে ফিরেছেন।

এ ব্যাপারে এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির এক কর্মকর্তা জানান, ফেরত আসা কর্মীদের অধিকাংশের অভিযোগ, তাদের প্রত্যেককে নানা স্বপ্ন দেখিয়েছিল দালাল ও রিক্রুটিং এজেন্সি। কিন্তু পরে সৌদি আরবে গিয়ে নানা সমস্যার শিকার হন প্রবাসীরা। এমনকি অনেকে দীর্ঘদিন কাজ করার পর বেতন না পেয়েই দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছে।

 

টাইমস/এসএন/আরএ/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
৫৪ বছরেও বুদ্ধিজীবী হত্যার তদন্ত বা বিচার করা হয়নি : গোলাম পরওয়ার Dec 14, 2025
img
রাজশাহীতে শিশু সাজিদের ঘটনায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ Dec 14, 2025
img
১৭ দিনে ১ বিলিয়ন ডলার আয় করল ডিজনি অ্যানিমেশন সিক্যুয়াল ‘জুটোপিয়া টু’ Dec 14, 2025
img
ক্রিকেটারদের গেটের বাইরে আটকে রাখা হয়েছিল, দাবি তামিমের Dec 14, 2025
img
মানুষের বিপদে শুধু আমার দরজাই সবার জন্য খোলা থাকে : পরীমনি Dec 14, 2025
img
'বাস্তিয়ান পাব' এর ঘটনায় ফের চর্চায় রাজ-শিল্পা দম্পতি Dec 14, 2025
img
সম্ভাব্য প্রার্থীকে গুলি, আমার মাথার ওপর বাজ পড়েছে : সিইসি Dec 14, 2025
img
বিমানবন্দরের অপ্রীতিকর ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ ম্যাককালামের Dec 14, 2025
img
৪র্থ বিবাহবার্ষিকীতে দাম্পত্যযাপন নিয়ে আবেগী পোস্ট অঙ্কিতা-ভিকির Dec 14, 2025
img
বাস্তব জীবন সিনেমার থেকেও বেশি সিনেমাটিক: তৌসিফ মাহবুব Dec 14, 2025
img
হাদিকে হামলার ঘটনায় মোটরসাইকেল মালিক হান্নান রিমান্ডে Dec 14, 2025
img
নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা ব্যর্থ হবে : ইসি সানাউল্লাহ Dec 14, 2025
img
সুদানে নিহত সেনা সদস্য শামীম রেজার গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম Dec 14, 2025
img
চেনা দুই প্রতিপক্ষ নির্বাচন বানচাল ও ধর্মের নামে বিভাজনের চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল Dec 14, 2025
img

দিল্লির প্রতিক্রিয়া

ভারতের মাটি কখনো বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কার্যক্রমে ব্যবহার হয়নি Dec 14, 2025
img
‘অমীমাংসিত’ আমার হৃদয়ের খুব কাছের একটি অয়েব ফিল্ম: রাহয়ান রাফী Dec 14, 2025
img
হর্নের শব্দদূষণ রোধে পুলিশ সার্জেন্টদের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ Dec 14, 2025
img
অনুষ্ঠানে কখনো খাবার খাই না: করণ জোহর Dec 14, 2025
img
ডাব খেয়ে গাছের উপর যুবকের ঘুম, উদ্ধার করলো ফায়ার সার্ভিস Dec 14, 2025
img
মোটরসাইকেল মালিক হান্নানকে সাত দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ Dec 14, 2025