রিজার্ভে নতুন রেকর্ড, ছাড়াল চার হাজার কোটি ডলার

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে (রিজার্ভ) নতুন রেকর্ড হয়েছে। বৃহস্পতিবার মজুত ৪০ বিলিয়ন ডলার বা ৪ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। এর আগে গত বুধবার রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ৯৭৮ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী সাইদুর রহমান বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০ বিলিয়ন বা চার হাজার কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ তিন লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি (প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ধরে)। প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুত এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে ১০ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, বিভিন্ন দেশে থেকে প্রবাসীদের পাঠানো প্রচুর পরিমাণ রেমিটেন্স, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঋণ আসার ফলে বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন ৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য- সরকারের প্রণোদনা ঘোষণায় বৈধপথে প্রচুর পরিমাণ প্রবাসীদের রেমিটেন্স আসা, আমদানি ব্যয়ের চাপ কম থাকা, দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি, আইএমএফ ও জাইকার বৈদেশিক ঋণ সহায়তা এবং বিশ্ব সংস্থার অনুদানের কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।

এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৩৯.৪০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল।
গতবছর একই সময়ে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার। আর গেল জুনে তা ছিল ৩৬ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। এরপর থেকেই দফায় দফায় রিজার্ভ বিলিয়নের অংক অতিক্রম করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাসে রেমিটেন্সে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ৬৭১ কোটি ৩১ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৮.৫৭ শতাংশ বেশি। প্রবাসীরা গত সেপ্টেম্বর মাসে ২১৫ কোটি ১০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স।

এর আগে প্রবাসীরা গত জুলাইয়ে ২৬০ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন দেশে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে এক মাসে এত রেমিটেন্স কখনো আসেনি। এর আগে এক মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছিল গত জুনে। ওই মাসে ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছিল।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
টলিউডে রাজনীতি ছিল, তবে এতটা প্রকাশ্যে নয়: পাওলি দাম Oct 31, 2025
img
ফ্যাসিবাদ সরকার যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ফেলে গেছে: শামা ওবায়েদ Oct 31, 2025
img
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে: নির্বাচন কমিশনার Oct 31, 2025
img
আসন্ন নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ফেক নিউজ : শফিকুল আলম Oct 31, 2025
img
মোবাইল ফোন হারালে ব্লক করার প্রক্রিয়া Oct 31, 2025
img
ভেনেজুয়েলায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র Oct 31, 2025
img
চরমপন্থা-সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার Oct 31, 2025
img
মহানগর ও বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিটে চালু হচ্ছে নতুন পোশাক Oct 31, 2025
img
ডাচ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে রব জেটেন Oct 31, 2025
img
কুয়েতে দুর্ঘটনার কবলে কিংসের বাস, অনুরোধ রাখেননি ম্যাচ কমিশনার Oct 31, 2025
img
তদন্তের মধ্যেই হাসপাতালে ছুটলেন শিল্পা শেঠি Oct 31, 2025
img
আমি যখন কোনো সম্পর্কে থাকি তখন আমার পুরোটা দিই: তামান্না ভাটিয়া Oct 31, 2025
img
দলগুলো ঐকমত্যে আসতে না পারলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: হাসনাত Oct 31, 2025
img
জবি ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদের পদত্যাগ, পরে ডিলিট করলেন পোস্ট Oct 31, 2025
img
যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা লুটপাট দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়ন করেছে : এ্যানি Oct 31, 2025
img
১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়ন কাজ যাচাইয়ে ডিএনসিসির কমিটি গঠন Oct 31, 2025
img
জিম্বাবুয়েকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত আফগানিস্তানের Oct 31, 2025
img
খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল এক পর্যটকের Oct 31, 2025
img
সিলেটের জালাল আহমেদ ও যীশুসহ ১০ ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা-কর্মচারী পেলেন বিশেষ সম্মাননা Oct 31, 2025
img
তেল আবিবের সমুদ্র সৈকতে নেতানিয়াহুর ব্যঙ্গচিত্র Oct 31, 2025