গ্রামীণফোনের গ্রাহক ও রাজস্ব বেড়েছে

মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ৩৪৯০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে । যা ২০১৮ সালে একই সময়ের তুলনায় ১১.৬ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৯.৮ শতাংশ।

বুধবার জিপি হাউজে  প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করা হয়। এ সময় বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলেন গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি এবং সিএফও কার্ল এরিক ব্রোতেন।

গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, নিয়ন্ত্রণমূলক কিছু চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও প্রথম প্রান্তিকে আমরা বেশ ভালো ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করেছি। শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় আমাদের নিরলস চেষ্টা সবসময়ই অব্যাহত থাকবে।

গ্রামীণফোনের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা কার্ল এরিক ব্রোতেন বলেন, গ্রামীণফোন প্রথম প্রান্তিকে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ও মার্জিন অর্জন করেছে। গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা দিতে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে আমাদের বিনিয়োগ অব্যাহত রাখব। ভবিষ্যতে গ্রামীণফোনের লাভজনক প্রবৃদ্ধির বিষয়ে আমরা আশাবাদী।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি-মার্চে ১৩ লাখ গ্রাহক গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কে যোগ দিয়েছে যা ২০১৮ সালের শেষ তিন মাসের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তুলনায় ১.৮ শতাংশ বেশি। প্রথম প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি ১১ লাখ ইন্টারনেট গ্রাহক অধিগ্রহণ করেছে। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের মধ্যে ৫১.৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।

গ্রামীণফোনের প্রথম প্রান্তিকে ২৫.৬ শতাংশ মার্জিন নিয়ে মোট লাভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৯০ কোটি টাকা। প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৬.৬১ টাকা।

বর্তমানে গ্রামীণফোনে মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা ১৫ হাজার ৯৩৯টি। গ্রামীণফোন প্রথম প্রান্তিকে কর, ভ্যাট, ফি, ফোরজির লাইসেন্স ও স্পেকট্রাম এ ফি বাবদ ২০৩০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে; যা একই সময়ে অর্জিত রাজস্বের ৫৮.১ শতাংশ।

এর আগে মঙ্গলবার গ্রামীণফোনের ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০১৮ সালের জন্য ২৮০ শতাংশ (১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশসহ) লভ্যাংশ অনুমোদন দিয়েছে।

 

টাইমস/এমএএইচ/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দুপুরে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে আসবেন নাহিদ ইসলাম Sep 16, 2025
img
জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের মতবিনিময় Sep 16, 2025
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ইসলামের অবস্থান | ইসলামিক জ্ঞান Sep 16, 2025
"আ:লীগ ও বিএনপিকে আগামী দিনের বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায় না" Sep 16, 2025
img
তিস্তা প্রকল্প যাচাইয়ে বাংলাদেশে আসছে চীনের বিশেষজ্ঞ দল: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ Sep 16, 2025
img
ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কাতারের পাশে ইসলামি বিশ্ব: এরদোয়ান Sep 16, 2025
img
পোশাক নিয়ে কাউকে হেয় করা চলবে না : সাদিক কায়েম Sep 16, 2025
img
ভাঙ্গার সীমানা ইস্যুতে ইসিতে ডিসির চিঠি Sep 16, 2025
img
বাগেরহাটে হরতাল প্রত্যাহার করে ইসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান Sep 16, 2025
img
‘শত্রুতা’ ভুলে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করল তৃণমূল Sep 16, 2025
img
নগদ নির্ভরতা কমাতে আসছে অভিন্ন লেনদেন ব্যবস্থা Sep 16, 2025
img
৪১% মাশুল বাড়ল চট্টগ্রাম বন্দরে Sep 16, 2025
img
ন্যায়ভিত্তিক শাসনে না ফিরলে মবের মূলক শব্দটি বাস্তবে স্থায়ী হবে: জিল্লুর রহমান Sep 16, 2025
img
নির্বাচনে গ্রুপিং নিয়ে বুলবুলের মন্তব্য Sep 16, 2025
img
শুধু কথা দিয়ে ইসরায়েলি বর্বরতা থামবে না : পেজেশকিয়ান Sep 16, 2025
img
রশিদ খানরা এগিয়ে, তবুও রিশাদে ভরসা রাখছেন মুশতাক Sep 16, 2025
img
শেখ হাসিনার মামলায় মাহমুদুর রহমানের অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Sep 16, 2025
img
দেশের বাজারে স্বর্ণ ও রুপার আজকের বাজারদর Sep 16, 2025
img
বিসিবির কাছে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কোয়াবের দাবি Sep 16, 2025
img
ভেনেজুয়েলার নৌযানে মার্কিন হামলা, নিহত ৩ Sep 16, 2025