এক বছরে স্থলবন্দরের আয় বেড়েছে ৪২ শতাংশ

আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের মাধ্যমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশের স্থলবন্দরগুলো ২১১ কোটি টাকা আয় করেছে। যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আয়ের তুলনায় ৬২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বেশি। সেই হিসেবে এক বছরে স্থলবন্দরগুলোর আয় বেড়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বিগত অর্থবছরে স্থলবন্দর থেকে যত আয় হয়েছে তার ৮২ শতাংশই এসেছে বেনাপোল, বুড়িমারী, ভোমরা ও তামাবিল স্থলবন্দর থেকে।

বরাবরের মতো গত অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি মাশুল আদায় হয়েছে বেনাপোল স্থলবন্দরে। এই স্থলবন্দরের আয় ছিল ৮২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। বুড়িমারী ৫৭ কোটি ২৯ লাখ, ভোমরা ১৮ কোটি ৭৩ লাখ ও তামাবিল ১৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা আয় করেছে।

অন্যান্য স্থলবন্দরের মধ্যে সোনামসজিদ স্থলবন্দর ৩ কোটি ৪০ লাখ , হিলি ৬ কোটি ৯১ লাখ, টেকনাফ ৩ কোটি ৬৮ লাখ, বাংলাবান্ধা ৩ কোটি ১৫ লাখ, আখাউড়া ১৯ লাখ, সোনাহাট ৩ কোটি ৭২ লাখ, নাঁকুগাও ৬৮ লাখ ও বিবিরবাজার ২ লাখ টাকা। এছাড়া এ সময়ে প্রধান কার্যালয়ের আয় ছিল ১৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার বলেন, গত কয়েকবছরে স্থলবন্দরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন ও সেবা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বেড়েছে নতুন চালু হওয়া বন্দরগুলোর সক্ষমতা। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী হওয়ায় ভারতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যও বেড়েছে। মূলত এসব কারণে স্থলবন্দরগুলোর আয় বাড়ছে।

তিনি জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আরো দু’টি নতুন স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ভোমরা ও বেনাপোল স্থলবন্দর সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলে স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি আরো বাড়বে।

চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে স্থলবন্দর থেকে ১৭৯ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে মোটরযান চুক্তির (বিবিআইএন এমভিএ) আওতায় অদূর ভবিষ্যতে স্থল পথে প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারি রাজস্বের পরিমাণও বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন তপন চক্রবর্তী।

দেশে বর্তমানে ২৩টি স্থলবন্দর আছে। এর মধ্যে ১২টি স্থলবন্দর কার্যকর আছে। বাকিগুলো এখনো শুল্কস্টেশনের মতো চলে। স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ৯৮ ভাগ পণ্যই আমদানি-রপ্তানি হয় ভারতের সঙ্গে। মিয়ানমারের সঙ্গে হয় ২ শতাংশের মত।

সূত্র: বাসস

 

টাইমস/এএইচ/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সারজিসের বন্ধুর বাসা থেকে তিন বস্তা টাকা উদ্ধারের দাবিটি ভুয়া Jul 06, 2025
img
বিশ্বাস ছিল যে ২৪৮ রান আমরা ডিফেন্ড করতে পারব : মিরাজ Jul 06, 2025
img
আরব্য রজনীর রূপে নেটিজেনদের নজর কাড়লেন টিনা দত্ত Jul 06, 2025
img
সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে : আমিনুল হক Jul 06, 2025
img
আমার মনে হয়, ইলিয়াস আলীকে ভারতের কোনো একটি কারাগারে রাখা হয়েছে : এম এ মালেক Jul 05, 2025
img
দীর্ঘ বিরতির পর সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করছে ব্রিটেন Jul 05, 2025
img
শ্রীলঙ্কাকে হারানোর দিনে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ তানভীর Jul 05, 2025
img
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে ফিরল টাইগাররা Jul 05, 2025
img
বাংলাদেশে পুশইনের জন্য বিশেষ বিমানে ২০০ জনকে সীমান্তে আনল ভারত Jul 05, 2025
img
ইরান থেকে সরে গেলেন জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষকরা Jul 05, 2025
img
ফারিন খানের পোস্ট ঘিরে জল্পনা, কী ইঙ্গিত দিলেন অভিনেত্রী? Jul 05, 2025
img
টলিউডের প্রিয় ‘এজেন্ট সাই’ আবারো ফিরছে বড় পর্দায় Jul 05, 2025
img
গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্ম বিকল্প নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে উঠেছে : নাহিদ ইসলাম Jul 05, 2025
img
গ্ল্যামার ছেড়ে শক্তিশালী চরিত্রে মানুষী Jul 05, 2025
img
'জুলাইয়ের মতো আগামী নির্বাচনে তরুণদের নেতৃত্বে ভোট বিপ্লব ঘটবে' Jul 05, 2025
img
সেখর কম্মুলার হাত ধরে বড়পর্দায় ফের সামান্থা Jul 05, 2025
img
পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ প্রাকৃতিক খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত: সুপ্রদীপ চাকমা Jul 05, 2025
img
রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে জনতা ব্যাংকের ডিজিএম নিখোঁজ Jul 05, 2025
img
সকাল ৯টার মধ্যে দেশের ৭ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস Jul 05, 2025
img
বাংলাদেশের ৩৬৫ রানের ইনিংসের রেকর্ড ভেঙে দিল ইংল্যান্ড Jul 05, 2025