যেভাবে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ বিজয়ী রাফাহ

‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৯’ এর বিজয়ী রাফাহ নানজিবা তোরসা। শুক্রবার রাতে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের গ্রান্ড ফিনালে বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়।

এছাড়াও এই প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ হয়েছেন ফাতিহা মায়াবী আর সেকেন্ড রানার আপ হয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস মেঘলা।

এদিকে, প্রতিযোগিতায় রাফাহর নাম ঘোষণার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় থৈ থৈ করে বাড়ছে তার জনপ্রিয়তা। এরপর থেকে অনেকেই প্রশ্ন ছুঁড়েছেন কে এই বিজয়ী? তিনি কোথায় পড়াশোনা করেছেন? কিভাবে এলেন? কীভাবে রূপের ঝলকে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ এর মুকুটটি ছিনিয়ে নিলেন?

এসব উত্তর খুঁজতে বাংলাদেশ টাইমস প্রতিনিধির কথা হয় বিজয়ী রাফাহর সঙ্গে। তিনি বলেন, তার ছোটবেলা কেটেছে চট্টগ্রামে। তিন বছর বয়সে তিনি নাচের প্র্যাকটিস শুরু করেছিলেন। এর বছর খানেকের মাথায় শুরু হয় তার আবৃত্তি ও ছবি আঁকা। চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এবং কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন তিনি।

এরপর ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স নিয়ে পড়াশোনাও করছেন রাফাহ।

এর আগে অবশ্য ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু–কিশোর প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে লোকনৃত্যে পুরস্কৃত হন এই সুন্দরী। এছাড়া অভিনয়ের ক্যাম্পেইনে চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।

এসব প্রতিভার সুবাদে জাপান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা হয় সরকারি অনুদানে। সে বছরেই ভারতের দিল্লীতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসবে মূকাভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন রাফাহ নানজীবা।

রাফাহর জীবনে আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জনেরও সুযোগ হয়। ২০১০ সালে জাতীয় শিশু–কিশোর প্রতিযোগিতায় ভারতনাট্যম নৃত্যে স্বর্ণপদক লাভ করেন তিনি। সে বছরই একটি বেসরকারি চ্যানেলের প্রতিভা অন্বেষণের প্রতিযোগিতা মার্কস অলরাউন্ডারে অংশ নিয়ে প্রথম রানার আপ হয়েছিলেন এই মিস সুন্দরী।

এদিকে, মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ নির্বাচিত হয়ে নিজের অনুভূতি জানিয়ে রাফাহ নানজিবা তোরসা বলেন, আমি আসলে খুশিতে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। অনেক পরিশ্রম করে এই পর্যন্ত এসেছি। নিজেকে সেরা হিসেবে দেখবো বলে রাতদিন পরিশ্রম করেছি। তবে আগে থেকে আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। যার ফলে আজ এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি।

সামনের পথচলা সহজ করতে এখন সকলের কাছে দোয়া চাই, আমি যেন দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।

এর আগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে এ বছরের মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ নির্বাচনের এই আয়োজনটি। অমিকন এন্টারটেইনমেন্টে সঙ্গে অনুষ্ঠানটির আয়োজক সহযোগী এক্সপার্ট ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট। এই আসরে অডিশনের জন্য ৩৭ হাজার ২ শত ৪৩ জন সুন্দরী নিবন্ধন করেন। সেখান থেকে ‘ইয়েস কার্ড’ পান মাত্র ৩০০ জন। আয়োজনে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দেবাশীষ বিশ্বাস, লুনা, সুমনা সোমা, রফিকুল ইসলাম র্যাফ।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on: