চীন জুড়ে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক : ২৬ জনের প্রাণহানি

চীন জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক। দেশটির উহান প্রদেশ ও মধ্যাঞ্চলের কয়েকটি শহরকে এরই মধ্যে এক প্রকার একঘরে ফেলা হয়েছে। এসব শহরের সব ধরণের বাস সার্ভিস, বিমান চলাচল ও ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তারপরও থামছেনা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। এরই মধ্যে চীনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ২৬ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৮০০ জনেরও বেশি।

শুক্রবার চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা ভাইরাস বিষয়ে জরুরী সতর্কতা জারি করেছে। সেই সঙ্গে জাপান, বাংলাদেশ, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বেশ কয়েকটি দেশেও করোনা ভাইরাস বিষয়ে সতকর্তা জারি করা হয়েছে। এসব দেশের বিমানবন্দরে চীন থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।

কারণ শঙ্কার বিষয় এই যে, এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। সংক্রমিত এসব মানুষ চীনের উহান প্রদেশ ভ্রমণ করেছিল। ধারণা করা হচ্ছে উহান প্রদেশ থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে।

জানা গেছে, চীনা নববর্ষ উপলক্ষে দেশটিতে লাখ লাখ পর্যটক আসতে শুরু করেছে। এর মধ্যে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রকোপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে চীন সরকার। কারণ, ভাইরাসটি নববর্ষের উৎসবের মাধ্যমে ব্যাপক হারে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষদিকে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর উহানের একটি পশুপাখির মার্কেটে বিক্রির উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে কিছু বন্যপ্রাণী আনা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান থেকেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি। তবে বিবিসির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, উহান শহরের একটি সি ফুড স্টল থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। তবে করোনা ভাইরাস প্রধানত সাপের মাধ্যমে ছড়ায় বলেও দাবি বিবিসির।

 

টাইমস/এসএন/আরএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
উচ্চ ভিত্তিমূল্যে আইপিএল মিনি অকশনে সাকিব-মুস্তাফিজ Dec 02, 2025
img
বাংলাদেশের শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে অবগত আজারবাইজান Dec 02, 2025
img
এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আজ বিকেলে Dec 02, 2025
img
ইউরোপের দলের বিপক্ষে প্রথমবার খেলার অপেক্ষায় বাংলাদেশ Dec 02, 2025
img
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আহ্বান ট্রাম্পের Dec 02, 2025
img
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা, শীর্ষে দিল্লি Dec 02, 2025
img
ভারতের অনুমতি পর ভুটানের পথে ট্রানশিপমেন্ট Dec 02, 2025
img
গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদকে রায় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে: ডা. মো. আবু নাছের Dec 02, 2025
img
টিভিতে আজকের সকল খেলা Dec 02, 2025
img
ইমরান খানের বিষয়ে ‘সত্য লুকানো হচ্ছে’, অভিযোগ পরিবারের Dec 02, 2025
img
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশার সাথে বাড়ছে শীতের তীব্রতা Dec 02, 2025
img
নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না : উপদেষ্টা ফাওজুল কবির Dec 02, 2025
img
রোহিত-কোহলির বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে ব্যাটিং কোচের মন্তব্য Dec 02, 2025
img
খ্যাতি নয়, শান্তিকেই জীবনের সত্য বললেন অনুষ্কা Dec 02, 2025
img
খালেদা জিয়ার বিকৃত ছবি-ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগ, সতর্ক থাকার আহ্বান বিএনপির Dec 02, 2025
img
ব্যক্তিগত সম্পর্কের চেয়ে ক্যারিয়ারকে গুরুত্ব দিলেন দেব Dec 02, 2025
img
উৎসাহ না দিতে পারলে নিরুৎসাহিতও করবেন না : জীতু কমল Dec 02, 2025
img
ফের পিএসএলে খেলার ঘোষণা মঈন আলীর Dec 02, 2025
img
টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তেই মুশফিক ভাইকে নিয়েছি : শান্ত Dec 02, 2025
img
যারা সংস্কার মানে না, তাদেরকে লাল কার্ড দেখাবো : রাশেদ প্রধান Dec 02, 2025