ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা ও বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেঁয়ে আসছে ভয়ঙ্কর সুপার সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। পশ্চিমবঙ্গের দীঘা ও সাগরদ্বীপ বরাবর রয়েছে আম্পানের মুল গতিমুখ। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূল থেকে প্রায় ২৫০ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে।
এমন পরিস্থিতিতে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বাংলাদেশ ও ভারতের রাজ্যগুলো তৎপরতা শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে রাজ্যের রেল যোগাযোগ ঠিক রাখতে বেশ কিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে রেলের ইঞ্জিন ও বগির নিরাপত্তা জোরদারে হাতে নেয়া হয়েছে এক আজব পদ্ধতি।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন রেল স্টেশনে আটকে পড়া ট্রেনের চাকা রেললাইনের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে দেয়া হয়েছে। যদিও করোনার প্রাদুর্ভাবে লকডাউনের জেরে গত ২৫ মার্চ থেকেই পুরোপুরি বন্ধ হয়ে আছে ভারতের রেল সেবা। কিন্তু বিভিন্ন স্টেশনে দাড়িয়ে থাকা ট্রেন যেন ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, সেজন্য ট্রেনের চাকা শিকলে বেঁধে রাখা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের হাওড়া, শিয়ালদহ ডিভিশনের বহু স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ট্রেনের চাকা শিকলে বাঁধার ব্যাপারে পশ্চিবঙ্গ রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রেনগুলো ঝড়ের দাপটে কোনো ভাবেই যেন নিজেদের অবস্থান থেকে সটকে না পড়ে তার জন্যই এ ব্যবস্থা। কারণ এর আগে ঘূর্ণিঝড়ে ট্রেনের বগি ও ইঞ্জিন লাইনচ্যূত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, ভারতে লকডাউনের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে ‘শ্রমিক স্পেশাল’ চালানোর উদ্যোগ নিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে রাজ্যে এসই স্পেশাল এক্সপ্রেস চালু করা হয়েছে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কবার্তা পেয়ে ওইসব ট্রেন সার্ভিস আপাতত বাতিল করা হয়েছে। সূত্র- আনন্দবাজার।
টাইমস/এসএন