মাস্ক সঙ্কটে উদ্বেগ জানানো চিকিৎসককে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি!

করোনা চিকিৎসায় পিপিই ও মাস্ক সংকটের কথা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বরখাস্ত হওয়া ভারতের এক চিকিৎসককে এবার মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই চিকিৎসককে মানসিক হাসপাতালে ভর্তির এ ঘটনায় দেশটিতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ বছরের অভিজ্ঞ অ্যানেসথেটিস্ট ডা. সুধাকর রাও দুই মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির গণমাধ্যমের শিরোনামে এসেছেন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় তামিলনাডু প্রদেশের বিশাখাপত্তমের একটি হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি। সেখানে মাস্ক ও পিপিই সঙ্কটের কথা জানিয়ে রোগীদের সেবা দেয়ার দৃশ্য ফেসবুক লাইভ করে আলোচনায় এসেছিলেন ডা. সুধাকর।

তার এই ফেসবুক লাইভ মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। পরে পুলিশ এই চিকিৎসককে হাসপাতাল থেকে টেনে-হেঁচড়ে বের করে আনে। বর্তমানে এই চিকিৎসককে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

করোনা মহামারিতে দেশটির বিভিন্ন প্রান্তের হাসপাতালে পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ও প্রস্তুতির অভাবের কথা জানিয়ে চিকিৎসকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন। এর মাঝেই নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়ে ফেসবুক লাইভ করার জেরে ওই চিকিৎসক মানসিক ভারসাম্যহীন উল্লেখ করে হাসপাতালে পাঠানো হলো।

শনিবার ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়া ওই চিকিৎসককে আটকের ভিডিওতে প্রথমে দেখা যায় শার্টবিহীন অবস্থায়। পরে দেখা যায় রাস্তার পাশে নিজের গাড়িতে বসে আছেন এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে চিৎকার করছেন তিনি।

অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এই চিকৎসক রাস্তার ওপর পড়ে আছেন। তার পেছন দিক থেকে হাত বাঁধা রয়েছে। এ সময় পুলিশের এক কনস্টেবল ডা. সুধাকরকে লাঠি দিয়ে পেটান। পুলিশ বলছে, চিকিৎসককে পেটানো ওই কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।

অপর একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীদের সামনে ওই চিকৎসককে বেঁধে একটি অটোরিকশাতে তুলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডা. রাও বলেন, হাসপাতালে যাওয়ার পথে গাড়ি থামিয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা। পরে তাকে গাড়ি থেকে জোরপূর্বক বের করে আনা হয়।

ডা. রাও বলেন, তারা আমার মানিব্যাগ ও ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে আমাকে মারধর করে। এই চিকিৎসকের মা কাভেরী রাও বিবিসিকে বলেন, তার ছেলের মানসিক কোনো সমস্যা নেই। সে একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img

রামপুরায় ২৮ হত্যা

বিজিবি কর্মকর্তা রেদোয়ানুলসহ ৪ জনের শুনানি আজ Nov 24, 2025
img
‘এভাবে চলতে পারে না’-প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিলেন ফরহাদ মজহার Nov 24, 2025
img
আমার পরিবার কঠিন দুঃসময় পার করছে : আবুল সরকারের মেয়ে Nov 24, 2025
img
প্রতারণা করা যায় বলে দাড়িপাল্লা বাতিল হয়ে গেছে: তারেক রহমান Nov 24, 2025
img

বাম জোটের কড়া বার্তা

বিদেশিদের সঙ্গে বন্দর চুক্তি বাতিল না হলে যমুনা ঘেরাও Nov 24, 2025
img
গাইবান্ধায় কারাগারে পাঠানোর পর অসুস্থ আ.লীগ নেতার মৃত্যু Nov 24, 2025
img
রুক্মিণী মৈত্রের ছবি-সহ ‘পাত্র চাই’ লেখা পোস্টার! Nov 24, 2025
img
সৌদি আরবে ৩.৪ মাত্রার ভূমিকম্প, কাঁপল ইরাকও Nov 24, 2025
img
ফিনল্যান্ডে শুরু হয়েছে প্রবাসী ভোটার তালিকাভুক্তি ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া Nov 24, 2025
img
জামায়াতে ইসলামী ধর্ম ব্যবসায়ী দল : নীলা ইসরাফিল Nov 24, 2025
img
বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ভুটান: মির্জা ফখরুল Nov 24, 2025
img
২৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতিদের নিয়ে ফুল কোর্ট ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি Nov 24, 2025
img
তারেক মাহমুদের লেখা কবিতা থেকে নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘সম্পর্ক’ Nov 24, 2025
img
শিরোপার কাছে আরো এক ধাপ এগিয়ে ইন্টার মায়ামি Nov 24, 2025
img
৩ দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী Nov 24, 2025
img
বিবাহবার্ষিকীতে আবেগঘন বার্তা শিল্পা শেঠির Nov 24, 2025
img
জকসু নির্বাচনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ Nov 24, 2025
img
হবিগঞ্জে দুদকের গণশুনানি আজ Nov 24, 2025
img
কষ্টই মানুষকে শক্ত করে: অক্ষয় কুমার Nov 24, 2025
img
এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি: নাহিদ ইসলাম Nov 24, 2025