আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আজারবাইজানে নিহত ১৩ : বাড়িঘর বিধ্বস্ত

আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আজারবাইজানের ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। শনিবার আজারবাইজানের গ্যাঞ্জা শহরে এ হামলা চালায় আর্মেনিয়া। হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।

আজারবাইজানের প্রকিকিউটর জেনারেলের কার্যালয়ের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীর ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গ্যাঞ্জার একটি আবাসিক ভবনে আঘাত করে। এসময় ওই ভবনের ১৩ বাসিন্দা নিহত হন। আহত হন আরও ৪০ জন।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সহকারী হিকমত হাজিয়েভ টুইট পোস্টে জানিয়েছেন, আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একই দিনে আজারবাইজানের ২০টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।

এদিকে আজারবাইজানের বেসামরিক লোকজনের বসবাসের এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে তুরস্ক। তুর্কি সরকারের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, আর্মেনিয়া বেসামরিক লোকজনকে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে। আর এটাই তাদের অপকৌশল।

তবে আজারবাইজানের গ্যাঞ্জা শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয় অস্বীকার করে আর্মেনিয়া সরকার জানিয়েছে, আজারবাইজান মিথ্যা দোষারোপ করছে। বরং আজারি বাহিনী নাগার্নো-কারাবাখের স্টেপানাকার্টে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। এতে বহু বেসামরিক লোকজন হতাহত হয়েছে।

আল জাজিরা বলছে, শনিবার ভোরে গ্যাঞ্জা শহরে আর্মেনিয়ার ছোড়া দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে। এছাড়া তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি মিঙ্গেসেভির শহরে আঘাত হানে। আর্মেনিয়ার মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এক দিনেই বহু লোকের প্রাণহানী ঘটেছে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

মৃত্যুর ভয় থেকে যেভাবে বাঁচবেন Nov 25, 2025
ইসির পোস্টাল অ্যাপে নিবন্ধন ৩১ হাজার ছাড়াল Nov 25, 2025
img
দ্রুত সময়ের মধ্যে কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণের আশা ফায়ার সার্ভিসের Nov 25, 2025
img
চট্টগ্রামে রেললাইনে পিকআপের ইঞ্জিন বিকল, ট্রেনের ধাক্কা Nov 25, 2025
img
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে উত্তপ্ত যবিপ্রবি Nov 25, 2025
img
এবার নিজেকে ‘গার্ডিয়ান অব চিটাগাং’ ঘোষণা করলেন শাহজাহান চৌধুরী Nov 25, 2025
img
বিছানায় না গেলে পুরুষ বাউলরা প্রোগ্রামে ডাকে না: হাসিনা সরকার Nov 25, 2025
img
রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, আহত ১৫ Nov 25, 2025
img
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে নতুন গতি আনতে চায় ফ্রান্স : রাষ্ট্রদূত Nov 25, 2025
img
স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিলেন সানাই Nov 25, 2025
img
ফের বড় দুঃসংবাদ পেল ভারত Nov 25, 2025
img
কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ১৯ ইউনিট Nov 25, 2025
img
সিলেটে ৮ দলের মহাসমাবেশের ঘোষণা Nov 25, 2025
img
বাউল শিল্পী আবুলের বিষয়ে এনসিপির ফের বিবৃতি Nov 25, 2025
img
ভারতে ম্যারাডোনাকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে বিগ বাজেটের সিরিজ Nov 25, 2025
img
নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ Nov 25, 2025
img
আমরা তো এভাবে খেলেই এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করেছি: আফঈদা খন্দকার Nov 25, 2025
img
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে যেকোনো দিনে তফসিল ঘোষণা Nov 25, 2025
img
হৃদরোগের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার আগে কেমন ছিলেন স্মৃতির বাবা? Nov 25, 2025
img
বিদেশি স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা, কত খোরপোশ চাইলেন অভিনেত্রী? Nov 25, 2025