ব্রিটেন থেকে পালিয়ে সিরিয়া চলে যাওয়া ইসলামিক স্টেটের জিহাদি-বধূ ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শামীমা বেগমের সদ্যোজাত ছেলেটি মারা গেছে। শুক্রবার এ খবর নিশ্চিত করেছে সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স বা এসডিএফ- এর একজন মুখপাত্র। খবর বিবিসি।
এসডিএফ হলো মার্কিন সমর্থনপুষ্ট আইএস বিরোধী গ্রুপ, যারা বর্তমানে মিজ বেগম নামে যে শরণার্থী ক্যাম্পে রয়েছেন তার তদারকি করছেন।
শামীমা সিরিয়ার যে আশ্রয়শিবিরে থাকেন সেখানকার আশপাশের কুর্দি রেড ক্রিসেন্টের এক চিকিৎসাকর্মী বিবিসিকে বলেছেন, তিন সপ্তাহের কম বয়সী শিশুটির ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছিল এবং বৃহস্পতিবার সে মারা যায়।
সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স প্রথমে এ খবর অস্বীকার করলেও পরে তারা শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এর আগে শামীমা বেগমের পরিবারের আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জি এক টুইট বার্তায় বলেন, তার কাছে জোরালো কিন্তু নিশ্চিত-করা-হয়নি এমন রিপোর্ট এসেছে যে, শামীমা বেগমের সদ্যোজাত ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। তিনি বলেন, “খবরটি সত্য কি না তা আমি একেবারেই জানি না। তবে আমি বলব, এটা দুঃখজনক। এমন অনেক নিষ্পাপ শিশুই হয়ত আছে যারা যুদ্ধক্ষেত্রে জন্ম নিচ্ছে।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমীর নবম শ্রেণির ছাত্রী শামীমা ও তার সহপাঠী আরেক ব্রিটিশ-বাংলাদেশি খাদিজা সুলতানাসহ তিন তরুণী আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পালিয়ে যান। সেখানে শামীমা ডাচ বংশোদ্ভূত এক জিহাদিকে বিয়ে করেন।
এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে - যখন ইসলামিক স্টেটের স্বঘোষিত খেলাফত বিলুপ্তপ্রায়; তখন সিরিয়ার বাঘুজে এক শরণার্থী শিবিরে তাকে খুঁজে পান দ্য টাইমস পত্রিকার এক সাংবাদিক। টাইমসের সাংবাদিক অ্যান্থোনি লয়েডকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শামীমা জানান তার ঘরে ফেরার আকাঙ্খার কথা। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার তার নাগরিকত্ব বাতিল করে।
অনাগত সন্তান যাতে চিকিৎসা সেবা পায় সেজন্য তিনি ব্রিটেনে ফিরতে চান বলে টাইমসের সাংবাদিককে বলেছিলেন শামীমা।
টাইমস/জিএস