ভারতে লোকসভা নির্বাচনের এক মাসও বাকি নেই। তার আগেই দল ছাড়লেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা টম ভড়াক্কান। এতদিন কংগ্রেসের মিডিয়া সেল প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন টম। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজারের।
সোনিয়া গান্ধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত টমকে পাশে বসিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এই ঘোষণা করেন। আসন্ন লোকসভা ভোটে এ বার বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন টম ভড়াক্কান। বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে তার কথাবার্তা চলছে।
সোনিয়া যখন কংগ্রেস সভানেত্রী ছিলেন, তখন তার সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের যোগাযোগের অন্যতম প্রধান সেতু ছিলেন টম।
কেন দল ছাড়লেন, তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দিল্লিতে টম বলেন, ‘আত্মসম্মানবোধ রয়েছে, এমন কারও আর জায়গা নেই কংগ্রেসে। বিমানবাহিনী বালাকোটে জইশের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরেও কংগ্রেস দেশের সেনাবাহিনীর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আমি খুবই হতাশ হয়েছি। যদি কোনো রাজনৈতিক দল এমন কোনো অবস্থান নেয়, যা দেশের স্বার্থের পরিপন্থী, তা হলে সেই দলটাকে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আমার সামনে আর কোনো রাস্তা খোলা থাকতে পারে না।’
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতেও তিনি উৎসাহিত হয়েছেন।
ভোটের মুখে বিরোধী শিবির থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঘটনায় টম দ্বিতীয়। ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিং বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন ইতোমধ্যেই।
টানা ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কংগ্রেস হাইকমান্ডের সুনজরে থাকার পরেও টম কোনো দিন ভোটযুদ্ধে লড়েননি। কংগ্রেসের প্রার্থী হননি কোনও নির্বাচনে। অথচ বছরের পর বছর ধরে কংগ্রেসের নির্বাচনী রণকৌশল ঠিক করার দায়িত্বে থেকেছেন যারা, টম বরাবরই ছিলেন তাদের সামনের সারিতে।
দিল্লির রাজনৈতিক মহল সূত্রের খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে পারদর্শী বিজেপির সঙ্গে টক্কর দিতে সেই টমকেই ইদানিং কিছুটা পিছিয়ে পড়তে হয়েছিল কংগ্রেসে। টম দলের মিডিয়া সেলের সম্পাদক থাকলেও, ছড়ি ঘোরানোর জন্য তার মাথার ওপর বসানো হয় রণদীপ সুরজেওয়ালা ও প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীকে।
টাইমস/এসআই