সুন্দর এভারেস্টের ভয়ংকর গল্প

বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়া মাউন্ট এভারেস্টে উঠা একদিকে যেমন রোমাঞ্চকর, অন্যদিকে ভয়ানকও বটে৷ এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে অনেকেই আর ফিরে আসেননি। হিমবাহ ও বরফ ধস, পড়ে যাওয়া, পর্বতারোহণজনিত অসুস্থতা, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাসহ নানা রকমের দুর্যোগের কারণে অনেকেই হারিয়ে গেছেন এভারেস্টের চিরতরে।

মৃত্যুর সংখ্যা কম নয়

হিমালয়ের বিভিন্ন চূড়ায় আরোহণ নিয়ে তথ্য সংগ্রহকারী অলাভজনক সংস্থা ‘দ্য হিমালয়ান ডাটাবেজ’ বলছে, ১৯০০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মাউন্ট এভারেস্টে উঠতে গিয়ে ২৮০ জনের বেশি পর্বতারোহী মারা গেছেন৷

 

বেশি মৃত্যু নেপাল অংশে

এভারেস্টে উঠার জন্য বেশিরভাগ পর্বতারোহী নেপাল ও তিব্বতের অংশ বেছে নেন৷ দ্য হিমালয়ান ডাটাবেজ বলছে, নেপালের অংশটি দিয়ে এভারেস্টে উঠতে গিয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ১৮০ জন৷

 

কিছুটা কম তিব্বতে

একই সময়ে তিব্বতের অংশ দিয়ে এভারেস্টে উঠতে গিয়ে নিহতের সংখ্যা ছিল একশ জনের ওপরে৷

 

কেউ মারা যাননি যে বছর

এভারেস্টে উঠত গিয়ে প্রায় প্রতিবছরই নিহতের ঘটনা ঘটে৷ এদিক থেকে ভাগ্যবান বলা যেতে পারে ২০১৬ সালকে, কেননা সে বছর তিব্বত অংশে প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি৷ এ হিসেবে, নেপাল অংশের জন্য শুভ সালটি ছিল ২০১০৷ আর ১৯৮১ সালে তিব্বত ও নেপাল- কোনো অংশেই নিহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে দ্য হিমালয়ান ডাটাবেজ৷

 

প্রাণহানির কারণ

পর্বতারোহীদের অভিজ্ঞতা বলছে, প্রাণহানির কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে হিমবাহ ও বরফ ধস, পড়ে যাওয়া, পর্বতারোহণজনিত অসুস্থতা, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাসহ নানা রকমের দুর্যোগ৷

 

 

সূত্র: ডয়চে ভেলে

 

টাইমস/এএস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

ক্রাশের নাম প্রকাশেই ভাইরাল রুকমিনি, জানেন কে সেই লাকি স্টার? Sep 17, 2025
“ভয় পাই না, জবাব দিতে জানি” ট্রলকারীদের হুঁশিয়ার করলেন পরেশ রাওয়াল Sep 17, 2025
পাকিস্তান ছাড়িয়ে বাংলাদেশেও জনপ্রিয় - কে এই হানিয়া আমির? Sep 17, 2025
মাত্র ৩১ এ অবসর! ফুটবল ছাড়লেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপ নায়ক উমতিতি Sep 17, 2025
img

ইইউ কমিশনার

নিরাপদ দেশের সব আশ্রয়প্রার্থীর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নেই Sep 17, 2025
img
বাংলাদেশ নয় শ্রীলঙ্কা নিজেদের জন্যই খেলবে: আরনল্ড Sep 17, 2025
img
সৌদি আরবে ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কর্মকর্তা আলী লারিজানি Sep 17, 2025
img
জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু আর্সেনালের Sep 17, 2025
img
দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রথম চালানে ভারতে গেল ৩৭.৪৬ টন পদ্মার ইলিশ Sep 17, 2025
img
ট্রাম্পের কাছ থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে পরিষ্কার অবস্থান জানতে চান জেলেনস্কি Sep 17, 2025
img

এশিয়া কাপ

সুপার ফোরে যেতে শ্রীলঙ্কার দিকে তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ Sep 17, 2025
img
রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা Sep 17, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের প্রশংসা করলেন আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা Sep 17, 2025
img
নাসুম ও রিশাদরা দারুণ বোলিং করেছে, ওপেনিং জুটি দরকার ছিল: লিটন দাস Sep 17, 2025
img
রংপুরে পদ্মরাগ ট্রেনের পাঁচ বগি লাইনচ্যুত, ১১ ঘণ্টা পর উদ্ধার Sep 17, 2025
img
আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন সম্ভব, প্রমাণ ডাকসু : আসাদুজ্জামান ফুয়াদ Sep 17, 2025
img

এশিয়া কাপ

আফগানিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখলো টাইগাররা Sep 17, 2025
img
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেত্রী সুইটি গ্রেপ্তার Sep 17, 2025
img
রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুরের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের Sep 16, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৬৬১ Sep 16, 2025