‘ভুয়া খবরের’ বিরুদ্ধে লড়াই শুরু

নামীদামী প্রযুক্তিসংস্থার সাহায্য নিয়ে ফেক নিউজের (ভুয়া খবর) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করেছে বিবিসি। নতুন এই পরিকল্পনায় ভুয়া খবর নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে একটি আশু সতর্কীকরণ পদ্ধতি তৈরির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

প্রধান প্রকাশক সংস্থাগুলো, গুগল, টুইটার ও ফেসবুক বিবিসির এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করছে। বিবিসি বলছে, ভুল তথ্য সরবরাহের বিরুদ্ধে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।

উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন নির্বাচনকে প্রভাবিত করাসহ নানা উদ্দেশ্যে মিথ্যা খবর, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ভিডিও প্রভৃতি তৈরি হয়ে আসছে। এসব ভুয়া খবরের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতার জন্য বড় তথ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সমালোচনাও হয়ে আসছে।

ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়া আটকাতে সম্প্রতি বিবিসির আয়োজনে ‘ট্রাস্টেড নিউজ সামিট’ এ বড় বড় প্রযুক্তি ফার্মের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কর্তা ব্যক্তিরা অংশ নেন। ওই সম্মেলনে নতুন পরিকল্পনার খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়।

নতুন পরিকল্পনায় যেসব বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হয়-

আশু সতর্কীকরণ পদ্ধতি
এমন একটি পদ্ধতি গড়ে তোলা, যাতে সংস্থাগুলো একে অপরকে তাদের আবিষ্কৃত এমন সব ভুল তথ্য সম্পর্কে দ্রুত সতর্ক করতে পারে। যা মানব জীবনের জন্য হুমকি বা নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

গণমাধ্যম সম্পর্কিত শিক্ষা
অনলাইনে একটি যৌথ মিডিয়া-শিক্ষা প্রচারণা শুরু করা, যাতে করে মিডিয়া সম্পর্কিত শিক্ষার বার্তাগুলির প্রচারণা ও সমর্থন করা সম্ভব হয়।

ভোটার তথ্য সহায়তা
নির্বাচনকে ঘিরে পারস্পরিক ‘নাগরিকে-তথ্য’ সম্পর্কিত সহায়তা বৃদ্ধি করা, যাতে খুব সহজে কোথায় এবং কীভাবে ভোট দিতে হবে তা ভোটারদেরকে জানানো যায়।

সংগৃহীত তথ্য বিনিময়
বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের সময় প্রয়োজনীয় তথ্য বিনিময় করা।

এ বিষয়ে বিবিসির মহাপরিচালক টনি হল বলেন, মিথ্যা তথ্য ও তথাকথিত ভুয়া সংবাদ আমাদের সবার জন্যই হুমকি। এমনকি এটি গণতন্ত্র এবং সাধারণ মানুষের জীবনেও হুমকির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এই সামিটের মধ্য দিয়ে উক্ত সমস্যাটির সমাধান লক্ষ্যে আমাদের একত্রিত হয়ে কাজ করার মনোভাব প্রকাশিত হয়। এই লক্ষ্যে এগিয়ে যাবার উদ্দেশ্যে আমরা বেশ কয়েকটি বিষয়ে একমত হয়েছি।

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: