ডেঙ্গুতে ফিলিপাইনে সহস্রাধিক প্রাণহানি, আক্রান্ত আড়াই লাখ

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ২১ জন মারা গেছেন। আর আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বুধবারের এক প্রতিবেদনে ফিলিপাইনে মহামারি ডেঙ্গুতে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এবার এ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ।

ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে সিনহুয়া জানিয়েছে, চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে ২৪শে আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে মৃতের সংখ্যা ১০২১। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। গত বছর এ সংখ্যা ছিলো ৬২২ জন। মারা যাওয়া ১০২১ জনের মধ্যে ৪০ শতাংশই হচ্ছে শিশু, যাদের বয়স ৫ থেকে ৯ বছরের মধ্যে।

স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব মতে, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৪৯ হাজার ৩৩২। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৯ হাজার ২২৪।

স্বাস্থ্য বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ডোমিঙ্গো বলেন, এখনও এ বছরের চার মাস বাকি রয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বরে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সামনের মাসগুলোতে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।

এর আগে গত ৬ই আগস্ট ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবকে জাতীয় মহামারী হিসেবে ঘোষণা করে ফিলিপাইন সরকার। এর আগে গত জুলাইতে ‘জাতীয় ডেঙ্গু সতর্কতা’ জারি করেছিল দেশটি।

আগস্টে মহামারীর ঘোষণা দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফ্রানসিস্কো দুকু বলেন, ‘সারা দেশে মহামারী ঘোষণার কারণ হলো, যেন কোন এলাকায় সাহায্য বেশি দরকার সেটি চিহ্নিত করা যায়। স্থানীয় সরকার বিষয়ক ইউনিটগুলোকে সক্রিয় করা দরকার যাতে করে মহামারী চলাকালে জরুরি তহবিল ব্যবহার করা যায়।’

উল্লেখ্য, ফিলিপাইনে প্রতি তিন-চার বছর পর পর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। দেশটিতে সর্বশেষ প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিলো ২০১৬ সালে। এবার মিমারোপা, ওয়েস্টার্ন ভিসায়াস, সেন্ট্রাল ভিসায়াস ও নর্দার্ন মিন্দানাও-এর মতো অঞ্চলগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। এসব এলাকায় ২ কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রাজধানী বাড়ছে শীত, তাপমাত্রা নেমে ১৯ ডিগ্রিতে Nov 17, 2025
img
ভাসানীর রাজনীতিকে বাস্তবতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করতে হবে : মান্না Nov 17, 2025
img
বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর দিল্লি, ১৩তম অবস্থানে ঢাকা Nov 17, 2025
img
১৭ নভেম্বর: ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা Nov 17, 2025
img
আজকের আবহাওয়া : ঢাকার আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে Nov 17, 2025
img
বিমান থেকে লাফ দিয়ে খুলল না প্যারাশুট! ভয়ঙ্কর স্কাই ডাইভিং অভিজ্ঞতা অজয়ের Nov 17, 2025
img
রাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ Nov 17, 2025
img
শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করল পাকিস্তান Nov 17, 2025
img
হাতে টাকা আসার পর অনেক দামী দামী জিনিস কিনেছি, কিন্তু মন থেকে পরিবর্তন হইনি Nov 17, 2025
img
শেখ হাসিনার মামলার রায় আজ Nov 17, 2025
সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জে টহল ও ড্রোন নজরদারি, নতুন উত্তেজনায় চীন-জাপান-তাইওয়ান Nov 17, 2025
পিরোজপুরে এবার সবচেয়ে বড় ইয়াবা চালান জব্দ Nov 17, 2025
প্রাথমিকের ডিজির ক্ষমতা ফিল্ড মার্শালের চেয়েও বেশি: গোলাম মাওলা রনি Nov 17, 2025
ভয়াবহ খরা মোকাবেলায় আকাশে ‘মেঘ বীজ’ বপনে তৎপর ইরান Nov 17, 2025
‘শাটডাউন’ ঘিরে রাজধানীর স্কুলগুলোতে নিরাপত্তা উদ্বেগ Nov 17, 2025
'সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবেলা করতে হবে' Nov 17, 2025
কুমিল্লায় নেচে-গেয়ে খন্দকার মোশারফের নেতৃত্বে বিএনপির মিছিল Nov 17, 2025
আল্লাহ'র তরফ থেকে গজবের কারণে আমার বোন শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারিয়েছে: কাদের সিদ্দিকী Nov 17, 2025
বিতর্কিত ভিডিও প্রসঙ্গে স্পষ্ট বক্তব্য দিলেন মিথিলা Nov 17, 2025
img
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১ Nov 17, 2025