উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানার পর দেশের তিন জেলায় চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে খুলনায় দুই জন, পটুয়াখালী ও বরগুনায় একজন করে।
রোববার ভোর রাত ও সকালে ঝড়ের সময় এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- খুলনার দাকোপ উপজেলার দক্ষিণ দাকোপ গ্রামের সুভাষ মণ্ডলের স্ত্রী প্রমিলা মণ্ডল (৫২), খুলনার দিঘুলিয়া উপজেলার সেনহাটি গ্রামের আলমগীর হোসেন (৩৫), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের উত্তর রামপুরা গ্রামের হামেদ ফকির (৬০) এবং বরগুনা সদর উপজেলার বানাই গ্রামের হালিমা খাতুন (৬৬)।
এছাড়া ঝড়ে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং বিপুলসংখ্যক গাছ উপড়ে পড়েছে।
খুলনার দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল ওয়াদুদ জানান, রাতে প্রমীলা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারে ছিলেন। সকাল ৯টা-সাড়ে ৯টার দিকে নিজের বাড়িতে যান তিনি। সেসময় একটি গাছ তার ওপরে পড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে দিঘুলিয়া থানার ওসি মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, দিঘুলিয়া উপজেলার সেনহাটি গ্রামে সকাল ৯টার দিকে বাসার পাশে অবস্থান করছিলেন আলমগীর হোসেন। এসময় একটি সজনে গাছ ভেঙে তার ওপরে পড়লে আহত হন তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দিঘুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের উত্তর রামপুরা গ্রামে হামেদ ফকির (৬০) নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। ভোর রাতে ঘরের ওপর গাছ পড়ে তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মির্জাগঞ্জ থানার ওসি শওকত আনোয়ার হামেদ ফকির।
অপরদিকে বরগুনা সদর উপজেলার ৯ নম্বর এম. বালীয়াতলী এলাকার ডিএন কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে হালিমা খাতুন (৬৬) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি সদর উপজেলার বানাই গ্রামে।
বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিচুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হালিমা খাতুন নামের ওই নারী অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন।
টাইমস/এইচইউ