উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় দুই ভাইকে হত্যা: চারজনের মৃত্যুদণ্ড

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় তিন আসামি ছাড়া সবাই আদালতে উপস্থিত ছিল।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে কমল হোসেন মালিথা, একই উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের কাবুল হোসেন মালিথার ছেলে কামরুল প্রামাণিক ও সুমন প্রামাণিক এবং নজরুল ইসলামের ছেলে নয়ন শেখ (পলাতক)।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের নজরুল শেখ, আব্দুর রহিম, মাহফুজুর রহমান, হৃদয় আলী (পলাতক), জিয়ারুল ইসলাম, সম্রাট আলী প্রামাণিক (পলাতক) ও আশরাফ মালিথা। তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছরের জেল দেয়া হয়েছে।

কুষ্টিয়া জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, স্কুলশিক্ষক মুজিবর রহমানের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া নাতিকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত এলাকার বখাটে আরিফুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে আরিফুলকে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য নিষেধ করেন মজিবুর রহমানের ভাই রতন। এতে আরিফসহ তার বন্ধুরা ক্ষিপ্ত হয়।

২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্থানীয় মসজিদে মাগরিবের নামাজ শেষ করে মুজিবর রহমান, তার ভাই মিজানুর রহমান ও মিনারুল সরদার বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আসামিরা তাদের পথ আটকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান শিক্ষক মুজিবর রহমান। এ সময় স্থানীয়রা নিহতের আরেক ভাই মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনার পর মুজিবর রহমানের ছেলে জাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন ভেড়ামারায় থানায়। পুলিশ তদন্ত করে আদালতে আসামিদের অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয়। দীর্ঘদিন শুনানি শেষে রোববার রায় প্রদান করা হয়।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

মামলায় সব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করেছেন মেহজাবীন Nov 17, 2025
আপিলে যাওয়ার সুযোগ নেই: রাষ্ট্রনিযুক্ত শেখ হাসিনার আইনজীবী Nov 17, 2025
তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা: চীনকে শান্ত করতে কূটনীতিক পাঠালো জাপান Nov 17, 2025
img
রাজধানীর দুই স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত এক Nov 17, 2025
img
যারা পলাতক আসামিদের আশ্রয় দিয়েছে, তারাও ঘৃণ্য অপরাধীদের পক্ষ অবলম্বন করেছে: গোলাম পরওয়ার Nov 17, 2025
img
এটা শুধু হাসিনার অপরাধের বিচার নয়, স্বৈরশাসনের কবর : মির্জা ফখরুল Nov 17, 2025
img
এআই অপপ্রচার বন্ধে ইসির সহায়তা চাইলেন ফুয়াদ Nov 17, 2025
img
‘ভবিষ্যতে আমার রাজনীতিতে জড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম’ Nov 17, 2025
img
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশে ভারতের প্রতিক্রিয়া Nov 17, 2025
img
ভুয়া খবরে ক্ষুব্ধ নোরা Nov 17, 2025
img
নাচ নিয়ে কটাক্ষ, মুখ খুললেন মালাইকা Nov 17, 2025
img
অভিনেত্রী শাওনকে ‘ভারতীয় গুপ্তচর’ অ্যাখ্যা, দ্রুত গ্রেফতার দাবি Nov 17, 2025
img

মিস ইউনিভার্সের মঞ্চ থেকে মিথিলা

‘এখন আমাদের দেশের সম্মানের প্রশ্ন’ Nov 17, 2025
img
১০ বছর আগের সাকা চৌধুরীর সেই ভবিষ্যদ্বাণী ভাইরাল Nov 17, 2025
img
ইসলামী ব্যাংকে ভয়াবহ আগুন Nov 17, 2025
img
ধর্মেন্দ্রর শারীরিক খোঁজ নিতে হেমার বাড়িতে শত্রুঘ্ন-পুনম Nov 17, 2025
img
৫ দিনের শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রামে পৌঁছেছে রাশিয়ার নৌবাহিনীর জাহাজ ‘গ্রেমেয়াশচি’ Nov 17, 2025
img
দল হিসেবে আ. লীগের বিচার শুরু করতে হবে: নাহিদ ইসলাম Nov 17, 2025
img
নির্বাচন কমিশনের নিয়ত পরিষ্কার : সিইসি Nov 17, 2025
img
কিছু লোক ইচ্ছাকৃতভাবে পরিস্থিতি উত্তেজিত করতে চায়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Nov 17, 2025