নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত কাভার্ডভ্যান চালক সিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ ও পটুয়াখালী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জ ‘ক’ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী।
আটক চারজন হলেন- পটুয়াখালীর সদর থানাধীন নন্দীপাড়া গ্রামের মৃত হাসান খলিফার ছেলে মূলহোতা মো. লাল মিয়া ওরফে লালু (২৫), নোয়াখালীর চাটখীল থানাধীন মমিনপুর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে মো. ইয়াছিন ওরফে পপো (১৮), হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানাধীন পারাজার গ্রামের মো. মাসুক মিয়ার ছেলে মো. শাহীন (২৬) ও সিদ্ধিরগঞ্জের রসুলবাগ এলাকার মো. আজিজুল হাকিম ভূঁইয়ার ছেলে মো. নাজমুজ সাকিব ওরফে অনিক (১৫)। আটকদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা কীভাবে কাভার্ডভ্যান চালককে হত্যা করেছে তার বর্ণনা দিয়েছে। তারা পেশাদার ছিনতাই চক্রের সদস্য। এই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত ১ জানুয়ারি ভোরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শিয়াচর এলাকার কারখানা থেকে একটি কাভার্ডভ্যান কার্টন বোঝাই করে আশুলিয়া যাওয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হয়। এদিকে ওই কারখানার ম্যানেজার সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলের মোড়ে অপেক্ষা করছিল। কারখানার ম্যানেজারকে কাভার্ডভ্যানে উঠানোর জন্য সিদ্ধিরগঞ্জে পৌঁছালে ছিনতাইকারীরা কাভার্ডভ্যান চালক সিরাজুলের ওপর হামলা চালায়ে তার সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সিরাজুল তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা সিরাজুলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। এ সময় ট্রাকের হেলপার রাজু চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে সিরাজুলকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সিরাজুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
টাইমস/এইচইউ