ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরবর্তীতে সেই গ্রেপ্তার ব্যক্তির কাছ থেকে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মোবাইল ফোন, চার্জার ও ব্যাগ পাওয়া গেছে।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন-কাশেম বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তির ছবি ঐ ছাত্রীকে দেখানো হয়েছে। তিনি তাকে ধর্ষক বলে চিহ্নিত করেছেন। আজ দুপুরে কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে আটকের পর ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার দেখিয়েছে র্যাব। সেই ব্যক্তি একজন অটোচালক বলেও জানা গেছে। গ্রেফতার যুবকের কাছ থেকে ছাত্রীর মোবাইল ফোন, চার্জার ও ব্যাগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরের পর কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানানো হবে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তি একজন অটোচালক বলে জানা গেছে।
জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের বাসে শেওড়াপাড়া যাচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী। তিনি ভুল করে কুর্মিটোলা এলাকায় নেমে পড়েন। এসময় অজ্ঞাত একজন ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে পাশের ঝোপের মধ্যে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রী সিএনজি অটোরিক্সাযোগে তার বান্ধবীর বাসায় গিয়ে ঘটনা খুলে বলেন। এরপরে রাতেই ভিকটিম ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। তিনি বর্তমানে হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
এরপর সোমবার সকালে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে যাওয়ার পথে একটি ঝোপের মধ্য থেকে ভিকটিমের বই, ঘড়ি, ইনহেলার ও চাবির রিংসহ বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ঢামেক ফরেনসিক বিভাগ ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পেয়েছে।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় আরও একটি মামলা করা হয়েছে।
টাইমস/টিএইচ