বাংলাদেশ-চীন গমনাগমন স্থগিত হতে পারে

চীনে এখন আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। এরই মধ্যে দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া প্রায় ১২টি দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতেও নেয়া হয়েছে সতর্কতা। কারণ চীনের সঙ্গে বাংলাদেশীদের ব্যবসায়িক ও দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য গমনাগমন হয়ে থাকে। ফলে বাংলাদেশেও ভাইরাসটি ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে বাংলাদেশ-চীন গমনাগমন সাময়িকভাবে স্থগিত করতে পারে বাংলাদেশ সরকার।

রোববার করোনা ভাইরাসের বিষয়ে বাংলাদেশের জরুরি সতর্কতা নেয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত জরুরি সভায় এমন ইঙ্গিত দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।

সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় জরুরি সভা করার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। এসময় মন্ত্রী আগামী ২৮ জানুয়ারি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আয়োজনের নির্দেশ দেন।

করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে চীন-বাংলাদেশ গমনাগমন স্থগিত করা হতে পারে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীন-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক সমৃদ্ধ ও গভীর। দেশের বহু মানুষ বাণিজ্যিক কারণে প্রতিনিয়ত চীনে যাতায়াত করেন। কিন্তু চীনে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাঁতী করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে ছড়ালে তা আমাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হবে। চীনে অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। তারা সবাই এখন দেশে ফিরতে গিয়ে যদি এই ভাইরাসের জীবাণু বহন করে দেশে ফেরত আসে, তাহলে তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ২৮ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে চীনে ও চীন থেকে বাংলাদেশে সকল ধরনের ভ্রমণ সাময়িকভাবে স্থগিত করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।

এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি সনাক্ত না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভাইরাস সনাক্তকরণে প্রতিটি বিমানবন্দর, নৌ-বন্দর, স্থল বন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

 

টাইমস/এসএন/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তদবির নয়, এবার বিচারপতি নিয়োগে কাঠামোগত পরিবর্তন Jul 19, 2025
img
সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে উইমেন্স ইউরোর সেমিফাইনালে স্পেন Jul 19, 2025
img
ড্রোন ও এআই অস্ত্র নির্মাণে যৌথভাবে কাজ করবে যুক্তরাজ্য-জার্মানি Jul 19, 2025
img
স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ২৫ কেজি দুধে স্নান করলেন হৃদয় মিয়া Jul 19, 2025
img
হাই অল্টিটিউড ম্যাচে কতটা প্রস্তুত জামালরা? Jul 19, 2025
img
সমর্থক গ্রেফতারে শীর্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড Jul 19, 2025
img
সরকারই উসকানি দিয়ে এনসিপিকে গোপালগঞ্জ পাঠিয়েছে : এলডিপি মহাসচিব Jul 19, 2025
img
বাংলাদেশ সরকারের কাজের প্রশংসা করলেন স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট Jul 19, 2025
img
কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের লোক ছাত্রদের দল গঠনের বুদ্ধি দিয়েছে : অলি আহমদ Jul 19, 2025
img
পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ চায় না বিএনপি Jul 19, 2025
হলফনামায় শেখ হাসিনার মি'থ্যা তথ্য, ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই ইসির Jul 19, 2025
img
মুজিববাদের কবর দিতে গোপালগঞ্জ যাওয়ার দরকার নেই : এ্যানি Jul 19, 2025
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমে সরকারকে ‘নজিরবিহীন’ বললো স্পেসএক্স Jul 19, 2025
‘হিরোস উইদাউট কেপস’ ডকুমেন্টারি: জুলাই আন্দোলনের প্রামাণ্য চিত্র Jul 19, 2025
img
জামালপুরে যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেফতার Jul 19, 2025
img
বাংলাদেশে স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে চালু, রিসেলার বিএসসিএল Jul 19, 2025
img
দলীয় উন্নয়নেই মনোযোগ, আজও দ্বিতীয় সারির দল পাঠাবেন বাটলার Jul 19, 2025
img
পাকিস্তানের ইরানি দূত এখন এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড Jul 19, 2025
img
এসি মিলানে মডরিচ, ফিরে গেলেন ছোটবেলার প্রেমে Jul 19, 2025
img
সমাবেশের আগেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো জামায়াতকর্মীরা Jul 19, 2025