নোয়াখালীর হাতিয়ায় অস্ত্র, গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড, ককটেলসহ ছয় জলদস্যুকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এসময় অপহৃত দুই জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার ভোরে হাতিয়ার আজাহার মেম্বারের ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় একটি মাছ ধরার বোট, দুইটি এলজি, ছয় রাউন্ড গুলি, চারটি সাউন্ড গ্রেনেড, চৌদ্দটি ককটেল ও চারটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো- সুবর্ণচর উপজেলার সফি আলম সর্দারের ছেলে ইউছুফ (৩৬), একই এলাকার জেবল হকের ছেলে নবী আলম (৫৫), আবুল কালামের ছেলে আবুল বাসার (৩৬), হাতিয়া উপজেলার নলেরচরের আলী আহম্মদের ছেলে হেঞ্জু মিয়া (৩৫), একই এলাকার ওবায়দুল হকের ছেলে হারুন (৫০) ও ভোলার দৌলতখান উপজেলার মফিজুল ইসলামের ছেলে নূরে আলম (৩৫)।
উদ্ধার হওয়া দুই জেলে হলেন- নোয়াখালী সদর উপজেলার নূরুল হকের ছেলে আব্দুর রহিম ও একই উপজেলার নূরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার হোসেন বাদশা।
কোস্টগার্ড জানায়, মঙ্গলবার নোয়াখালী-সন্দীপের সীমান্তবর্তী মেঘনা নদীতে একটি মাছ ধরার বোটে হামলা চালিয়ে ১০ জন জেলেকে অপহরণ করে জলদস্যু বাহিনী। এরমধ্যে ৮ জেলেকে ছেড়ে দিলেও বোটসহ দুই জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে হাতিয়ার আজাহার মেম্বারের ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে অভিযান চালানো হয়। এসময় কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে দস্যু বাহিনী তাদের উপর হামলার চেষ্টা করলে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে ৬ দস্যুকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোস্টগার্ড হাতিয়ার স্টেশন অফিসার বিশ্বজিৎ বড়ুয়া জানান, আটককৃত দস্যুদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
টাইমস/এইচইউ