এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল ব্যাংক কর্মকর্তা হাসিবুর রহমানের। করোনাভাইরাসের মহামারিতে তার সেই সংসার ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন হাসিবুর রহমান। তিনি জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জনতা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জিকরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তার শরীরে করোনার উপসর্গ থাকলেও করোনা পজিটিভ কি না তা জানা যায়নি। তার নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য দেয়া হয়েছে। যদিও ওই শাখায় কিছুদিন আগে আরেক কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে শাখাটি ১৪ দিনের জন্য লকডাউন করা হয়। ওই কর্মকর্তার পাশেই বসতেন হাসিবুর রহমান।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে সামান্য জ্বর জ্বর অনুভব করেন হাসিবুর রহমান। তবে গত রোববার থেকে তার করোনার লক্ষণগুলোর তীব্রতা বেড়ে যায়। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে পুরান ঢাকার বাসায় তাকে অক্সিজেন দেয়া হয়। রাত ১২টার দিকে তার জ্বর, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট তীব্র হয়। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি মারা যান। হাসিবুর রহমানের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার বালিয়াটি উপজেলায়। তিনি জনতা ব্যাংকে ২০০৯ সালে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।
উল্লেখ্য, করোনা ও করোনা উপসর্গে জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ সারা দেশে ব্যাংক কর্মকর্তাদের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭ জনে। এদের মধ্যে রয়েছেন সোনালী ব্যাংকের একজন, রূপালী ব্যাংকের একজন ও দি সিটি ব্যাংকের দুই জন কর্মকর্তা। এ ছাড়া চট্টগ্রামে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও দুই ব্যাংক কর্মকর্তা। তবে তাদের করোনার পরীক্ষা করা হয়নি। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫৬ জন ব্যাংকার।
টাইমস/জেকে