বান্ধবীকে হয়রানির প্রতিবাদ, রিফাত স্টাইলে ছাত্র খুন (ভিডিও)

বরগুনায় আবারও রিফাত স্টাইলে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বান্ধবীকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় ওই হত্যার ঘটনা ঘটে। এবার হত্যার শিকার হয়েছেন এসএসসি ফলপ্রার্থী ছাত্র। নির্মম ওই হত্যাকাণ্ডের সময় অনেকেই উপস্থিত থাকলেও বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি কেউ। কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য নিয়ে ওই হত্যার ঘটনা ঘটে। বরগুনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শাহজাহান জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে।

জানা গেছে, সোমবার (২৫ মে) বিকেলে বরগুনা সদর উপজেলার গোলবুনিয়া পর্যটন এলাকায় পায়রা নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হৃদয় বরগুনা পৌর শহরের চরকলোনী চাঁদশী সড়কের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। ওই হত্যাকাণ্ডের সময় আশপাশে লোকজন জড়ো হলেও এগিয়ে আসেনি কেউ। হত্যাকাণ্ডের মোটিভ খুঁজে দেখা হচ্ছে জানিয়ে পুলিশ বলছে, বরগুনায় কোনো কিশোর গ্যাং নেই। এ ঘটনায় এখনো কেউ আটক হয়নি। দায়ের হয়নি কোন মামলাও।

স্বজনরা জানান, ঈদের শেষ বিকেলে পার্শ্ববর্তী গুলবুনিয়া এলাকায় পায়রা নদীর পাড়ে ঘুরতে যায় বরগুনা সদরের লবণগোলা এলাকার এসএসসি পরীক্ষার্থী হৃদয়। এ সময় ১০ থেকে ১৫ জন কিশোর লাঠিসোটা নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হলে তাকে উদ্ধার করে নেয়া হয় সদর হাসপাতালে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মঙ্গলবার (২৬ মে) সকালে তাকে নেয়া হয় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই মারা যায় হৃদয়।

হৃদয়ের বন্ধু মিঠুন রায় জানান, হৃদয়সহ তারা সাতজন বন্ধু ঈদের দিন বিকেলে পায়রা নদীর পাড়ে গোলবুনিয়া ব্লক ইয়ার্ডে ঘুরতে যায়। এসময় হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের এক বান্ধবীর দেখা হয়। এসময় হৃদয় তার ওই বান্ধবীর সাথে কথা বলতে থাকে। সেসময় ইউনুস, নয়ন, হেলাল এবং নোমানসহ তাদের সহযোগীরা বাজে মন্তব্য করতে থাকে। হৃদয় এর প্রতিবাদ করলে কিছুক্ষণ পরেই তারা ১০-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল লাঠিসোটা নিয়ে হৃদয়ের উপর আঘাত হানতে থাকে। এসময় হৃদয়ের বন্ধুরা বাধা দিতে গেলে তাদের উপরেও হামলা চালায় ওই সন্ত্রাসীবাহিনী। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হৃদয়কে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। নিহত হৃদয় বরগুনা টেক্সটাইল ও ভোকেশনালে ইনস্টিটিউটে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।

ভিডিও : 

টাইমস/জেকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভোট দিতে প্রবাসী নিবন্ধন ১ লাখ ২৭ হাজার Dec 02, 2025
img
স্বর্ণের ভরিতে বাড়ল ১৫৭৫ টাকা, আজ থেকে বিক্রি হবে নতুন দামে Dec 02, 2025
img
শান্তি আলোচনায় ভূখণ্ড ইস্যু সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ: জেলেনস্কি Dec 02, 2025
img
মধ্যপ্রাচ্যে ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’ চান পোপ Dec 02, 2025
img
১ কোটি টাকা লাগলেও মুশফিককে কিনত রাজশাহী Dec 02, 2025
img
নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বিএনপির Dec 02, 2025
img
'মা দুটো পথ দেখিয়েছিলেন - জনপ্রিয়তা ও প্রিয়জন' Dec 02, 2025
img
এইচআইভি মোকাবিলায় ৩ দেশে প্রথমবার একযোগে টিকাদান শুরু Dec 02, 2025
img
মেঘাচ্ছন্ন ঢাকার আকাশ, শুষ্ক থাকতে পারে আজকের আবহাওয়া Dec 02, 2025
img
বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন মাদার অব ডেমোক্রেসি ও আপসহীন নেতৃত্বের প্রতীক : ব্যারিস্টার মামুন Dec 02, 2025
img
নেতানিয়াহুকে আহমেদ আল-শারার সঙ্গে দৃঢ় সংলাপ বজায় রাখার তাগিদ ট্রাম্পের Dec 02, 2025
img
উচ্চ ভিত্তিমূল্যে আইপিএল মিনি অকশনে সাকিব-মুস্তাফিজ Dec 02, 2025
img
বাংলাদেশের শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে অবগত আজারবাইজান Dec 02, 2025
img
এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আজ বিকেলে Dec 02, 2025
img
ইউরোপের দলের বিপক্ষে প্রথমবার খেলার অপেক্ষায় বাংলাদেশ Dec 02, 2025
img
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আহ্বান ট্রাম্পের Dec 02, 2025
img
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা, শীর্ষে দিল্লি Dec 02, 2025
img
ভারতের অনুমতি পর ভুটানের পথে ট্রানশিপমেন্ট Dec 02, 2025
img
গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদকে রায় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে: ডা. মো. আবু নাছের Dec 02, 2025
img
টিভিতে আজকের সকল খেলা Dec 02, 2025