প্রাথমিকের প্রশ্ন যাবে বাড়িতে, অভিভাবকদের সামনে পরীক্ষা!

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিনে দিনে বাড়ছে। এরই মাঝে দেশে লকডাউন শিথিল করে দেয়া হচ্ছে। খুলছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। গাড়ি চলাচলও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করা হচ্ছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে শিক্ষাব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। টিভি ও অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি প্রশ্ন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। সেই প্রশ্নে অভিভাবকদের সামনে বসে উত্তর লিখবে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। সেই উত্তরপত্র মূল্যায়ন করবেন শিক্ষক। নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর পদক্ষেপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত রাখতে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে রাজধানী ঢাকা, বিভাগীয় শহর এবং জেলা সদরের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন কঠিন হওয়ায় এই মূল্যায়ন পদ্ধতিকে বাধ্যতামূলক করা হবে না বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, ১৫-২৩ এপ্রিলের মধ্যে প্রথম সাময়িক, ৯-২০ অগাস্টের মধ্যে দ্বিতীয় সাময়িক এবং ২-১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষার হওয়ার কথা। আর ১৯-৩০ নভেম্বরের মধ্যে পঞ্চমের সমাপনীর ছক কষা রয়েছে। গত ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাথমিকের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এসএসসির ফল পিছিয়ে যাওয়ার সঙ্গে এবারের এইসএসসি পরীক্ষাও স্থগিত হয়ে গেছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, স্কুল বন্ধের পর থেকে সংসদ টেলিভিশনে নিয়মিতভাবে ক্লাস দেখানো হচ্ছে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পড়া দিচ্ছেন। এগুলোকে কীভাবে মূল্যায়নের মধ্যে আনা যায় আমরা সেই চিন্তা-ভাবনা করছি। ওই পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি সপ্তাহে যদি মূল্যায়নটা করা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরাও ঠিকমতো পড়বে। তাদের পড়াটাও হবে পাশাপাশি মূল্যায়নটাও হল।

টাইমস/জেকে

Share this news on: