ছেলেদের নির্যাতনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বৃদ্ধ বাবা

বাড়ি লিখে না দেয়ায় বৃদ্ধ বাবাকে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দুই ছেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ছেলে ও পুত্রবধূদের আসামি করে থানায় মামলা করা হলেও গত ১০দিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। উল্টো মামলা করায় বাবার ওপর বেড়েছে নির্যাতনের মাত্রা। নির্যাতনের ভয়ে বৃদ্ধ বাবা এখন পলাতক।

গাজীপুর নগরীর কামারজুরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। বৃদ্ধ জহিরুল হক বিভিন্ন জায়গায় বিচার চেয়েও বিচার পাননি। পরে উপায়ন্তর না পেয়ে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ছেলেদের ভয়ে।

জহিরুল হক বলেন, বাড়ির জমি লিখে না দেয়ায় দুই ছেলে একরামুল হক সেলিম ও আনোয়ার হোসেনসহ পুত্রবধূরা আমার ওপর অনেকদিন ধরে নির্যাচন চালিয়ে আসছে। লোকলজ্জার কথা চিন্তা করে এসব কথা কাউকে বলিনি। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আমি থানায় তাদের নামে মামলা করি।

এতে তারা আমার ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তারা আমাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছে। তাই প্রাণের ভয়ে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। মেয়ের বাড়িতে আপাতত আশ্রয় নিয়েছি।

এঘটনায় বৃদ্ধ জহিরুলের মেয়ে বলেন, ভাই-ভাবীদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাবা আমার বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। বাবা নির্যাতনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এটা সহ্য করা যায় না।

এদিকে জীবনের শেষ বেলায় এসে নিজের সন্তানদের হাতে নির্যাতনের স্বীকার জহিরুল হকের নিরাপত্তা দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

এলাকাবাসী জানান, সম্পত্তির জন্য নিজের বাবাকে কোনো ভালো সন্তান মারধর করতে পারেনা। আইনের আওতায় এনে দোষীদের বিচার করা উচিত।

এব্যাপারে ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, ছেলেদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দিয়েছেন জহিরুল হক। মামলাও নেয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে চাকরি করতেন জহিরুল হক। ২০০৮ সালে তিনি অবসরে যান। পরে সঞ্চয় করা অর্থ দিয়ে গাজীপুরে পাঁচ কাঠা জায়গা কিনে বাড়ি করেন তিনি। ওই বাড়ি লিখে নিতেই ছেলেরা তার ওপর নির্যাতন শুরু করে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে ফিরবেন লিটন Oct 23, 2025
img
সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক শুরু Oct 23, 2025
img
সাগরে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস Oct 23, 2025
img
বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তনের আভাস Oct 23, 2025
img

জুলাই গণহত্যা

শেখ হাসিনার রায় সম্পর্কে জানা যাবে দুপুরে Oct 23, 2025
img
কিমোনো পরে মেয়ের জন্মদিনে নতুন রূপে শাবনূর Oct 23, 2025
img
কিংস পার্টি নিজেদের অপবাদ গা থেকে সরাতে নাটক করতেছে : মাসুদ কামাল Oct 23, 2025
img
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে কখনও এত কঠিন সময়ের মুখোমুখি হননি কোহলি Oct 23, 2025
img
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলায় শেষ দিনের যুক্তিতর্ক আজ Oct 23, 2025
img
অতীতের করা সব ধরনের ভুলের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জামায়াতে আমির Oct 23, 2025
img
আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না মোদি, যাবেন না মালয়েশিয়া Oct 23, 2025
img
জুভেন্টাসকে ১-০ গোলে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় পেলো রিয়াল Oct 23, 2025
img
মৃত্যুর আগের দিন কী ঘটেছিল শুটিং সেটে Oct 23, 2025
img
সালমান খানের বাড়িতে যাতায়াত,ফোন পেয়েছিলেন বিদ্যা বালানেরও Oct 23, 2025
img
পশ্চিম তীর দখলের বিল ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার জন্য হুমকি : রুবিও Oct 23, 2025
img
মা হারালেন মেহের আফরোজ শাওন Oct 23, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চলছে তৃতীয় দিনের আপিল শুনানি Oct 23, 2025
img
কপিল শর্মার পর এবার নিশানায় পাঞ্জাবি গায়ক তেজি কাহলন Oct 23, 2025
img
তিউনিসিয়া উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবি, প্রাণহানি অন্তত ৪০ Oct 23, 2025
img
এইচএসসি পাসের হার কম, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফাঁকা থাকছে ১১ লাখ আসন Oct 23, 2025