রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির পশুর মাংস কাটতে গিয়ে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায় আহত হয়েছেন ১৮ জন। এছাড়া সারাদেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় কোরবানির পশু কাটার সময় আহত হয়েছেন প্রায় ৪ হাজার মানুষ।
জানা গেছে, গতকাল ঈদুল আজহার দিন শুধুমাত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালেই আহত শতাধিক ব্যক্তি চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঢামেক হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, ঈদের দিন কোরবানির পশুর মাংস কাটার সময় আহত শতাধিক ব্যক্তি জরুরি চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের অধিকাংশই হাতে ও পায়ে ধারালো ছুরি বা দায়ে আঘাতে জখম নিয়ে এসেছিলেন। কারো কারো শরীরের অন্যান্য স্থানেও জখম হয়েছে।
এছাড়া গরুর শিংয়ের আঘাতে কিংবা লাথির আঘাতেও আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন কয়েকজন। তবে সবাইকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. আলাউদ্দিন বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হাত-পায়ে জখম নিয়ে আসা শতাধিক ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। যারা কোরবানির পশুর মাংস কাটতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
এদিকে দেশের প্রায় সকল জেলা ও উপজেলায় বিপুল মানুষ কোরবানির পশু কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলাতেই অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া অন্যান্য জেলায় কোরবানি করার সময় পশুর লাথি-গুতো খেয়ে অনেকেই ধরাশায়ী হয়েছেন। অপেশাদার ব্যক্তিরা কোরবানির মাংস প্রস্তুত করতে গিয়ে ছুরি ও দায়ের আঘাতে জখম হয়েছেন। তবে অধিকাংশ ব্যক্তিই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য আছেন।
টাইমস/এসএন