ওসি প্রদীপের বিপুল সম্পদের উৎস কি?

টেকনাফ থানার আলোচিত ওসি প্রদীপ কুমার ও তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুদক। এ ব্যাপারে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়-২ এর উপ পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম।

দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওসি প্রদীপের নামে চট্টগ্রামের দাশেরলাল খান বাজারে একটি ফ্ল্যাট, কক্সবাজারে দুটি হোটেল রয়েছে। চট্টগ্রামের বেয়ালখালীতে প্রদীপের স্ত্রী চুমকির নামে রয়েছে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ।

এছাড়া প্রদীপ ও তার স্ত্রীর নামে মৎস্য খামার, ভারতের আগরতলা ও অষ্ট্রেলিয়ায় বাড়ি রয়েছে বলেও নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে নিশ্চিত হয়েছে দুদক।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ওসি প্রদীপ কুমার বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। কারণ ওসি প্রদীপের আয়কর নথিতে শুধু তার বেতন ভাতা, শান্তিরক্ষা মিশন থেকে পাওয়া ভাতা ও জিপিএফ থেকে প্রাপ্ত সুদের টাকার বর্ণনা আছে। কিন্তু তিনি কোন উৎস থেকে আয়ের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন তা স্পষ্ট নয়।

জানা গেছে, প্রদীপের স্ত্রী চুমকি গৃহিণী হলেও ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার মৎস্য খামারের মালিক তিনি। এছাড়া পাথরঘাটায় ৪ শতক জমিও রয়েছে চুমকির নামে। যার বাজার মূল্য ৮৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।

ওই জমির ছয়তলা ভবনের বর্তমান মূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার। এছাড়া চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ কোটি ২৯ লাখ ৯২ হাজার ৬০০ টাকার জমি কেনা হয়েছে চুমকির নামে। ২০১৭-১৮ সালে কেনা হয় কক্সবাজারে ঝিলংজা মৌজায় ৭৪০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট কেনেন চুমকি। যার মূল্য ১২ লাখ ২ হাজার টাকা।

ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর নামে করা এসব স্থাবর সম্পদের মোট মূল্য দাঁড়িয়েছেঠ ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৫১ হাজার ৩০০ টাকা। এছাড়া অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৫ লাখ টাকা দামের প্রাইভেটকার, ১৭ লাখ টাকার মাইক্রোবাস ও ৪৫ ভরি স্বর্ণালংকার।

প্রসঙ্গত, ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফে শামলাপুরের পাহাড়ি এলাকা থেকে ভিডিও শুটিংয়ের কাজ শেষে ফেরার পথে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এখন কারাগারে আছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমারসহ ৯ পুলিশ সদস্য।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: