আল মোহাইমিন সিয়াম ও সাজিউর রহমান সাজিদ বাল্যবন্ধু। সিয়ামের পড়াশোনা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাজিদের পড়াশোনা বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে। তবে তিনি এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে এই দুইজনের আর পড়াশোনা করা হবে না। একটি দুর্ঘটনায় একসঙ্গেই না ফেরার দেশে চলে গেছেন তারা। কদিন আগে সাজিদ ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ‘অতৃপ্ত চোখে বিদায় বলেছি’। ওই স্ট্যাটাস দেওয়ার তিন দিনের মাথায় সত্যি সত্যিই পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন সাজিউর রহমান সাজিদ। তার চিরবিদায়ে সঙ্গী হয়েছেন শৈশবের সহপাঠী ও বন্ধু আল মোহাইমিন সিয়াম। শুক্রবার গাইবান্ধায় বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে নৌকাডুবিতে মারা গেছেন এই দুই ছাত্র।
জানা গেছে, সাজিউর রহমান বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে গত বছর এইচএসসি পাস করেন। মোহাইমিন সিয়াম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বগুড়া শহরের উপশহর নিশিন্দারা এলাকার মৃত সিকান্দার আলী সরদারের ছেলে। আর সাজিদ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার গ্রামের মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে। গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাজিউর রহমান লেখেন, ‘ডুবে গেছে সে সূর্য/ যে আলোয় তোমায় চেয়েছি/ অতৃপ্ত চোখে বিদায় বলেছি।’ সেই স্ট্যাটাসের পর জীবন থেকেই বিদায় নিলেন সাজিদ ও তার বন্ধু সিয়াম।
উল্লেখ্য, পলাশবাড়ী উপজেলায় সিয়ামের নানাবাড়ি। সেই বাড়িতে তারা কয়েকজন বন্ধু মিলে বেড়াতে যান। বাড়ির পাশে নদীতে গোসল করতে নামেন তারা। প্রবল স্রোতে সিয়াম ও সাজিদ নিখোঁজ হন। অন্যরা তীরে উঠে আসেন। পরে ভাটি থেকে ওই দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সাজিদ ও সিয়াম দুজনই পড়তেন বগুড়ার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল ও কলেজে। এসএসসি পাসের পর দুজনই সরকারি আজিজুল হক কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে এইচএসসি পাসের পর সিয়াম ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর সাজিদ দ্বিতীয়বার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই সব শেষ হয়ে গেছে সাজিদের।
টাইমস//জেকে